প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ১৩ জেনে ঠেকেছে। এছাড়াও এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪২ হাজার ৬৩৮ জন। তবে এখন পর্যন্ত ৩ হাজার তিনশ ৪৪ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, এ ভাইরাসে সিঙ্গাপুরে আক্রান্ত হয়েছেন এক বাংলাদেশি। গত ১ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ৩৯ বছর বয়স্ক ওই বাংলাদেশি।
সিঙ্গাপুুরে আক্রান্ত বাংলাদেশি থাকা ডরমেটরির বাসিন্দা হওয়ায় কাজে যোগ দিতে পারেননি বেশ কয়েকজন কর্মী। সোমবার সকালে কর্মস্থলে হাজির হলেও সেখান থেকে ফিরিয়ে দেয়া হয় তাদের। আপাতত ওই ভবনের বাসিন্দাদের কর্মস্থল থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে।
দেশটির জনশক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, সিঙ্গাপুর কন্ট্রাক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি এবং কন্ট্রাক্টর-ডরমেটরি অপারেটরদের সঙ্গে কথা বলেছেন। ভাইরাস আক্রান্তদের সংস্পর্শে থাকা সবাইকে কোয়ারেন্টাইনে রাখতে বলা হয়েছে।
তারা জানায়, করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাংলাদেশি শ্রমিকের ১০ রুমমেট, তার সঙ্গে কোম্পানির একই গাড়িতে যাতায়াতকারী ৮ জন এবং কর্মক্ষেত্রের এক প্রকল্প ব্যবস্থাপকসহ মোট ১৯ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।
গত ১ ফেব্রুয়ারি কর্মস্থলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই বাংলাদেশি। ৩ ফেব্রুয়ারি তাকে সিঙ্গাপুরের জিপি ক্লিনিকে পাঠানো হয়। এর দু’দিন পর ৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশি এই প্রবাসীকে চাঙ্গি জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয় বেডোক পলিক্লিনিকে।
এরপর ৮ ফেব্রুয়ারি ওই বাংলাদেশি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত করেন চিকিৎসকরা। পরে তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজেসে (এনসিআইডি) চিকিৎসাধীন।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন