ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা না করা হলেও শনিবার মধ্যরাতেই বিভিন্ন রাজ্যে মোট ১০০ জনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছিল। আর রবিবার রাতে সেই সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়াল ১১২। এর মধ্যে ১৭ জন বিদেশি পর্যটক আছেন। আক্রান্তদের মধ্যে অন্তত ১০ জন এখন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় সরকারের দেওয়া সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, রবিবার ভারতে নতুন মোট ১৯টি করোনা আক্রান্তের ঘটনা নথিভুক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ঘটনা মহারাষ্ট্রে ধরা পড়েছে। আক্রান্তের নিরিখে মহারাষ্ট্র ইতোমধ্যে কেরালাকে ছাপিয়ে গেছে। বাকি চার জনের মধ্যে কেরালায় দুজনের এবং রাজস্থান ও কর্নাটকে একজন করে রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্রে এখনও পর্যন্ত মোট ৩৩ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গেছে। যার জেরে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ এবং শপিং মল বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যার নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে কেরালা। সেখানে এখনও পর্যন্ত মোট ২৪ জন আক্রান্ত হয়েছে। এছাড়া উত্তরপ্রদেশে ১২ জন এবং দিল্লি ও কর্নাটকে ৭ জন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত একজনও আক্রান্তের সন্ধান না পাওয়া গেলেও রবিবার করোনাভাইরাসকে মহামারী ঘোষণা করে গুজরাট সরকার। সেইসঙ্গে এই রোগের সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের ক্ষমতা কয়েকজন কর্মকর্তার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। টিউশন ক্লাস এবং অঙ্গনওয়াড়ি-সহ রাজ্যে সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ২৯ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে। একই পদক্ষেপ নিয়েছে তেলেঙ্গানা, তামিলনাডু, দিল্লি, উড়িষ্যা, কর্নাটক এবং জম্মু-কাশ্মীর। করোনা আক্রান্ত সন্দেহে গুজরাটে এখনও পর্যন্ত ৭৭ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মোট ৭২টি ক্ষেত্রে রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। আর পাঁচটি রিপোর্ট এখনও সরকারের হাতে আসেনি।
এখনও পর্যন্ত ভারতে মোট যে ক’জন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে তাদের প্রত্যেকে হয় এই রোগে বিপর্যস্ত অঞ্চলগুলোতে গিয়েছিলেন অথবা আত্মীয়দের মাধ্যমে এই রোগ তাদের মধ্যে সংক্রমিত হয়েছে। ভারতে সামাজিক মেলামেশার মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ার কোনও ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। সূত্র: এই সময়
বিডি প্রতিদিন/কালাম