চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে তৈরি হচ্ছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কারাগারে তৈরি করা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সাড়ে আট হাজার বন্দির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি তা সুলভ মূলে সাধারণ জনগনের কাছেও বিক্রি করা হবে। এতে করে করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কারণে চট্টগ্রামে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের যে সংকট দেখা দিয়েছে তা কিছুটা হলেও দূর হবে।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার কামাল হোসেন বলেন, ‘চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে তৈরি করা হচ্ছে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার। কারাগারে উৎপাদিত মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার কারা অভ্যান্তরের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বাইরেও সুলভ মূল্যে বিক্রি হবে। ’
জানা যায়, করোনা ভাইরাস চিহ্নিত হওয়ার পর পুরো দেশে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার সংকট দেখা দেয়। এছাড়া চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে আটক প্রায় সাড়ে আট হাজার বন্দির কথা চিন্তা করে মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরির করার জন্য উদ্যোগ নেয়া হয়। কারাগারে তৈরি করা মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ভেতরের চাহিদা পূরণের পাশাপাশি সাধারণ জনগণের কাছেও সুলভ মুল্যে বিক্রি করা হবে।
কারা কর্মকর্তারা জানান- করোনা প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর বন্দিতের কারাগারের ভেতরে বাইরে কিছুটা কড়াকড়ি করা হয়েছে। বন্দিদের সাথে সাক্ষাতও সীমিত করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে বন্দিদের সাথে দেখা না করতে পরিবারের প্রতি অনুরোধ করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া যারা বন্দিদের সাথে সাক্ষাত করতে আসছেন তাদের জীবানু মুক্তের নির্দেশনাবলী অনুসরণ করে বন্দিদের সাথে সাক্ষাতের অনুমতি দেয়া হচ্ছে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার/সেলিম