করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে লালমনিরহাটের বেশিরভাগ মানুষ ব্যবহার করছেন হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসল, গ্লাভস ও মাস্কসহ জীবাণুনাশক ওষুধ । কিন্তু সংকটের অজুহাতে ওষুধের দোকানগুলোতে এসব পাওয়া যাচ্ছে না। আবার পাওয়া গেলেও নেওয়া হচ্ছে বেশি দাম।
বুধবার সন্ধ্যায় সরেজমিনে জেলার সদরসহ কালীগঞ্জ, হাতীবান্ধা, আদিতমারী ও পাটগ্রামের বিভিন্ন ফার্মেসি ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। আর নাপা ও প্যারাসিটামল পাওয়া গেলেও রাখা হচ্ছে চড়া মূল্য।
একাধিক ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, ওষুধের দোকানগুলোতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসল, গ্লাভস ও মাস্ক মজুত রেখে দিচ্ছেন না। আবার হ্যান্ড স্যানিটাইজার, হেক্সিসলের দাম বেশি দিলে মিলছে। নগরী ও গ্রামের বড় দোকানগুলো থেকে বলা হচ্ছে সাপ্লাই (সরবরাহ) নেই। কিন্তু গ্রামের বিভিন্ন ছোট ওষুধের দোকানিরা এসে চাইলে ঠিকই জীবাণুনাশক ওষুধ দেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে গ্রামের ওষুধের দোকানিরা জানান, কোম্পানিতে সাপ্লাই (সরবরাহ) নেই। কিন্তু বেশি দাম দিলেই মিলছে মজুতে থাকা জীবাণুনাশক সব ওষুধ। আর গ্রামের ক্রেতাদের চাহিদার কারণে বেশি দামে নিতে হচ্ছে। এতে করে নিম্ন আয়ের মানুষ বিপাকে পড়েছেন।
আদিতমারী ও সদরের দোকানিরা জানান, কোম্পানিতে সাপ্লাই (সরবরাহ) কমে যাওয়ার ফলে এসব পাওয়া যাচ্ছে না। গ্লাভস ও মাস্কের সাপ্লাই থাকলেও সিন্ডিকেট করে ১৫ টাকা মাস্ক ৬০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। ২০ টাকা করে গ্লাভসের বিক্রি করা হলেও তা ৭০ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। আর হেক্সিসল তো কোথাও পাওয়াই যাচ্ছে না।
লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নিমর্লেন্দু রায় বলেন, হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ছাড়া বেশ কয়েকটি জীবাণুনাশক ওষুধ ইতিমধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তারা ওই সব জীবাণুনাশক ওষুধ ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়াও সব সময় হাত ধুয়ে পরিষ্কার রাখতে হবে। মানুষের প্রতি আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, আতঙ্কিত না হয়ে সচেতনতা অবলম্বন করুন। আপাতত বাড়িতে থাকুন, বাড়ি থেকে বের হওয়ার কোন দরকার নেই ।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক আবু জাফর জানান, হাট-বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হচ্ছে। বেশি দাম নিলেই তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে। যদি কেউ জীবাণুনাশকসহ হেক্সিসল ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার মজুত করে দাম বেশি নেয়। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার