৩১ মার্চ, ২০২০ ১৭:০৬

দিল্লির মসজিদে জমায়েত : করোনায় ৭ জনের মৃত্যুর পর আরও ২৪ জন আক্রান্ত

অনলাইন ডেস্ক

দিল্লির মসজিদে জমায়েত : করোনায় ৭ জনের মৃত্যুর পর আরও ২৪ জন আক্রান্ত

ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৭ জন মারা গেছেন। তারা দিল্লির নিজামউদ্দিন এলাকার একটি মসজিদে তাবলিগ-ই-জামাতের জমায়েতে যোগ দিয়েছিলেন। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া একজন ইমাম গত সপ্তাহে শ্রীনগরে মারা গেছেন।

এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নড়েচড়ে বসেছে সরকার। মসজিদটি সিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে এবং পাশাপাশি দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের মসজিদ থেকে কমপক্ষে ৮৫০ জনকে অন্য একটি জায়গায় কোয়ারান্টাইন করে রাখা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই ২০০ জনের শরীরের নমুনা সংগ্রহ করে করোনা সংক্রমণ হয়েছে কিনা তার জন্যে পরীক্ষা করতে পাঠানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই ২৪ জনের শরীরে ওই সংক্রমণ হয়েছে বলে প্রমাণও মিলেছে। সংক্রমিতদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছে দিল্লি সরকার।

গত ১ থেকে ১৫ই মার্চের মধ্যে দিল্লির ওই মসজিদে অন্তত ২ হাজার মানুষের সমাগম হয়েছিল। দিল্লিতে ওই মসজিদে শুধু ভারত নয়, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিরগিজিস্তান থেকেও বিভিন্ন মানুষজন এসে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। সেখান থেকেই ব্যাপক হারে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঘটনায় দিল্লির ওই মসজিদের মওলানার বিরুদ্ধে পুলিশকে এফআইআর দায়ের করার নির্দেশ দিয়েছে কেজরিওয়াল সরকার।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে যেখানে সমস্ত রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্যে অনুরোধ জানাচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, ঠিক সেই সময় ওই নিয়ম উপেক্ষা করে এই মাসের শুরুর দিকে ওই মসজিদে একটি ধর্মীয় সমাবেশের আয়োজন করা হয়। ওই মসজিদে পৃথিবীর নানা দেশে থেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী মানুষেরা ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

ওই অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার পর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে তেলেঙ্গানার ৬ জন এবং শ্রীনগরের একজন মারা গেছেন।

এদিকে, ওই জমায়েতে অংশ নেয়া ৯ ব্যক্তির মধ্যে করোনা সংক্রমণের প্রমাণ মিলেছে। পাশাপাশি তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তির স্ত্রীর দেহেও মিলেছে এই ভাইরাস। 

এক বিবৃতিতে দিল্লির পশ্চিম নিজামুদ্দিনে তবলিগ-ই-জামাতের "মার্কাজ" কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২২শে মার্চ "জনতা কারফিউ" ঘোষণা করার পরে এই অনুষ্ঠানটি বাতিল করা হয়। কিন্তু ততক্ষণে ওই মসজিদ চত্বরে প্রচুর মানুষের জমায়েত ছিল। তাঁরা ওই কারফিউয়ের কারণে আটকা পড়ে। তাঁদের আর অন্য কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। আর এরপরেই শুরু হয়ে যায় দেশ জুড়ে লকডাউন। তাই বাধ্য হয়েই মসজিদ সংলগ্ন এলাকাতেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে থাকতে বাধ্য হয়।

বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম

সর্বশেষ খবর