গেল বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম ধরা পড়ে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস। এরপর বিশ্বের অন্তত ২০০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এ ভাইরাস। এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ লাখ ৩০ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৫৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এছাড়াও এ ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরে গেছেন ২ লাখ ২০ হাজার।
এদিকে, এ ভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন ডায়ানা বেরেন্ট নামে এক মার্কিন নারী। করোনা সেরে উঠে নতুন যুদ্ধে নাম লেখাতে ব্যাকুল হয়ে আছেন তিনি। করোনা থেকে যারা সেরে উঠছেন তাদের শরীরের অ্যান্টিবডি এখন গবেষকদের অন্যতম ভরসা। তারা মনে করছেন, এই অ্যান্টিবডিই করোনাকে নির্মূলের প্রধান উপায় হতে পারে। সেই অমূল্য অ্যান্টিবডি দেয়ার জন্যই ডায়ানার এমন ব্যাকুলতা।
মধ্য-মার্চের এক সকালে নিজের নিউইয়র্কের বাড়িতে ঘুম থেকে ওঠে ডায়ানা দেখেন, তার শরীরে ১০২ ডিগ্রি জ্বর। সঙ্গে গলা ও বুকে প্রচণ্ড ব্যথা। এরপর পরীক্ষায় দেখা গেলো, তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এলাকায় তারই প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হলো। তারপর হাসপাতালে গেছেন। চিকিৎসকদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টায় ডায়ানা সুস্থ হয়ে স্বজনদের কাছে ফিরে এসেছেন।
সেই ডায়ানাই নিউইয়র্কের প্রথম সেরে ওঠা রোগী, যিনি কি-না অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য গবেষকদের অ্যান্টিবডি দেয়ার প্রক্রিয়ায় নাম লিখিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন-অতীত অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের আশার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসন এই অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা করোনা রোগীদের শরীরে দিয়ে পরীক্ষা করার অনুমতি দিয়েছে। পরীক্ষা সফল হলে প্রায় আড়াই লাখ করোনা আক্রান্ত রোগীতে দিশেহারা যুক্তরাষ্ট্র আশার আলো দেখতে পারে।
এর আগে ইবোলা ও সার্সের মতো ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকে সংগৃহীত অ্যান্টিবডি সমৃদ্ধ প্লাজমা ব্যবহার সুফল দিয়েছিল বলে বিভিন্ন গবেষণায় উঠে আসে।
বিডি-প্রতিদিন/বাজিত হোসেন