বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আরও এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে ৪০ বছর বয়সী ওই নারীর মৃত্যু হয়।
এর আগে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই নারীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা তাকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন।
এদিকে, করোনা আক্রান্ত এক ব্যক্তির তথ্য গোপন করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ডে (ইউনিট-৩) ভর্তির ঘটনা ফাঁস হওয়ার পর ওই ওয়ার্ডটি সাময়িক লকডাউন এবং ওই ইউনিটের চিকিৎসক-নার্সসহ ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, সর্দি-কাশির তথ্য গোপন করে এক রোগীকে গত ১৩ এপ্রিল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন স্বজনরা। সেখান থেকে ওই রোগীকে মেডিসিন ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। গত বুধবার (১৫ এপ্রিল) তার এক্স-রে রিপোর্ট দেখে চিকিৎসকদের করোনা সন্দেহ হয় এবং রোগীকে তাৎক্ষণিক হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসোলেশনে পাঠায়। গত বৃহস্পতিবার রাতে তার নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজেটিভ হয়। এর পরপরই হাসপাতালের পুরুষ মেডিসিন ওয়ার্ড (ইউনিট-৩) সাময়িক লকডাউন এবং ওয়ার্ডে দায়িত্বপালনকারী চিকিৎসক-নার্সসহ ২৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়।
গত বৃস্পতিবার রাতের সবশেষ তথ্য অনুযায়ী একজন চিকিৎসক, ২ জন নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন এবং বিভাগে ২৮ জন।
অপরদিকে করোনা সংক্রামণ রোধে বরিশাল জেলা লকডাউনের ৫ম দিন অতিবাহিত হলেও অনেকেই এই নির্দেশ মানছেন না। বিশেষ করে সকালের দিকে প্রচুর মানুষের ভিড় হয় বিভিন্ন বাজারসহ প্রধান প্রধান সড়কে এবং অলিগলিতেও। তবে বেশীরভাগ মানুষ সরকারি স্বাস্থ্য নির্দেশনা মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছেন।
বরিশালের জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমান করোনা সংক্রামণ এড়াতে সবাইকে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিজ নিজ ঘরে অবস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন।
বিডি প্রতিদিন/এনায়েত করিম