দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর মেশিনে করোনা পরীক্ষা বন্ধের পর ১৩ উপজেলাতেই করোনা নমুনা সংগ্রহে ভাটা পড়েছে। কোন কোন উপজেলাতে জরুরি ছাড়া নমুনা নেয়ায় হচ্ছে না। এখানে ৪ জেলার করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হতো। এই জেলায় করোনা সংক্রমণ বাড়লেও পরীক্ষা না হওয়ায় নমুনা সংগ্রহে ভাটা পড়েছে।
বন্ধের মাঝে নমুনা যেসব সংগ্রহ হচ্ছে সেসব ঢাকায় পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে বলে জানান সিভিল সার্জন। তাই ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আরটিপিসিআর মেশিন ঠিক না পর্যন্ত করোনার নমুনা পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের আরটিপিসিআর মেশিনে ৪ সেপ্টেম্বর ১৮০টি নমুনা পরীক্ষার সবই পজিটিভ আসে। আরটিপিসিআর মেশিনটিতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দিয়েছে। তাই ঢাকার পরামর্শে তাই এই মেশিনে নমুনা পরীক্ষা ও রিপোর্ট প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ঢাকা থেকে একটি দল এসে মেশিনটি ঠিক করবেন। তবে এখন যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে, তা ঢাকায় পাঠিয়ে পরীক্ষার রিপোর্ট আনার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, ১৩ উপজেলায় করোনার নমুনা সংগ্রহে ১৩জন রয়েছে। তাদের সাথে চিকিৎসকসহ আরও কয়েকজন যায়। রবিবার রাত পর্যন্ত ঢাকার পিসিআর ল্যাব থেকে পার্বতীপুর উপজেলার নমুনা পরীক্ষা ৮৬টির মধ্যে ১২টি পজিটিভ আর বাকী ৭৪টি রিপোর্ট নেগেটিভ হয়েছে।
বর্তমানে ২৭৫ জন হোম আইসোলেশনে এবং ৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ও হাসপাতালে করোনায় ভর্তি ৪৯ জন রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় দিনাজপুর থেকে প্রেরিত নমুনা সংগ্রহ ৪৪টি। দিনাজপুর জেলায় এ পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩১৭৯জন, সুস্থ হয়েছে ২৭৮৭ জন, আর মৃত্যু হয়েছে ৬৫ জন।
উল্লেখ্য, দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ-এ স্থাপিত আরটিপিসিআর মেশিনে দিনাজপুর ছাড়াও ঠাকুরগাও, পঞ্চগড় ও নীলফামারী জেলার করোনা টেস্ট করা হতো।
বিডি প্রতিদিন/এ মজুমদার