করোনাভাইরাসের টিকা দেশে আনার পরে তা সংরক্ষণ, বিতরণ ও প্রয়োগের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে জমা পড়েছে কর্মপরিকল্পনার চূড়ান্ত খসড়া। একই সঙ্গে যেসব প্রতিষ্ঠান বা এলাকায় টিকা দেওয়া হবে, সেগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, ঢাকা এবং সারা দেশে যে স্টোরগুলোতে টিকা সংরক্ষণ করা হবে, সেগুলো প্রস্তুত করা হচ্ছে। টিকা সরবরাহের জন্য যে পরিবহন ব্যবহার করা হবে, সেই পরিবহনও এরই মধ্যে তৈরি হয়েছে।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, এরই মধ্যে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি মানুষের জন্য টিকা সংগ্রহের বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে। এর মধ্যে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকার তিন কোটি ডোজ ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনার জন্য চুক্তি করেছে সরকার।
জানা গেছে, সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিদ্যমান টিকা সংরক্ষণ ব্যবস্থাকেই কাজে লাগানো হবে করোনার টিকা রাখার জন্য। সেগুলোকে প্রস্তুত করা হচ্ছে। কোভ্যাক্স থেকে আসা টিকার জন্য বিমানবন্দর এলাকায় বিএডিসির হিমাগার ভাড়া নেওয়া হবে। সেরাম থেকে আসা টিকা দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করা হবে বেক্সিমকোর নিজস্ব পরিবহনে।
বিডি প্রতিদিন/ফারজানা