১০ দিনের ব্যবধানে সীমান্তবর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তিন গুণের বেশি। মে মাসের দ্বিতীয় দশকে ২২ জনের করোনা শনাক্ত হলেও শেষ দশকে শনাক্ত হয়েছে ৭৬ জনের। ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশিরা দেশে ফিরতে শুরু করার পর থেকে এই অবস্থা হয়েছে বলে অনেকের অভিমত।
চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১১ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ১০ দিনে জেলায় ২২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। অপর দিকে ২১ থেকে ৩১ মে ১১ দিনে জেলায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭৬ জনের। এতে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দর্শনা জয়নগর চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ইনচার্জ আব্দুল আলিম জানান, গত ১৫ দিনে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে বৈধ পথে ৭৩৩ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন। এর মধ্যে ১২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন চুয়াডাঙ্গা জেলা ‘লোকমোর্চা’র সভাপতি অ্যাডভোকেট আলমগীর হোসেন জানান, বৈধ পথে যেসব নাগরিক দেশে আসছেন, তারচেয়ে অনেক বেশি মানুষ অবৈধভাবে দেশে প্রবেশ করছে। তারা মূলধারার জনগোষ্ঠীর সাথে মিশেও যাচ্ছে। এতে করে জেলার করোনা সংক্রমণ মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। যেকোনো সময় এর কুফল সামনে চলে আসতে পারে।
চুয়াডাঙ্গার করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ডা. আওলিয়ার রহমান জানান, গড় হিসাবে চুয়াডাঙ্গার করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পায়নি। স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বদা সতর্ক আছে। ইতিমধ্যে ভারত ফেরত ১২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। তাদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে রাখা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ খালেকুজ্জামান জানান, তার অধীনস্থ সীমান্ত দিয়ে অবৈধ পথে কেউ দেশে প্রবেশ করছে না। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা থাকতে পারে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ৬ বিজিবি সর্বদা সতর্ক অবস্থায় আছে।
বিডি প্রতিদিন/এমআই