নড়িয়া-জাজিরা-ঢাকা সড়কের গুরুত্বপূর্ণ অংশ কীর্তিনাশা নদীর ওপর ‘ভাষাসৈনিক গোলাম মাওলা সেতু’র নির্মাণকাজ আট বছরেও শেষ করতে পারেনি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এর ফলে পুরোনো সেতু ভেঙে ফেলার পর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ নৌপথে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন স্থানীয়রা।
এ সেতু নির্মাণে দুই দফায় ঠিকাদার বদলেও কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। প্রথম ঠিকাদার কাজ ফেলে চলে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ঠিকাদার ‘কোহিনুর এন্টারপ্রাইজ’ বর্তমানে ধীরগতিতে কাজ করছে। এলজিইডি জানিয়েছে, প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। তবে কাজের মেয়াদ ৯ জুন শেষ হলেও এখনো সময়মতো শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
ট্রলারে ঝুঁকিপূর্ণ পারাপার
পুরোনো সেতু ভেঙে ফেলার পর নড়িয়া উপজেলার মোক্তারের চর, রাজনগর, নশাসন ও জপসা ইউনিয়নসহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ ট্রলারে কীর্তিনাশা নদী পার হচ্ছেন। প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী, শিক্ষার্থী এবং কর্মজীবী লোকজন ১০ মিনিটের ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলার ভ্রমণে বাধ্য হচ্ছেন। বর্ষায় নদীতে স্রোত বাড়লে দুর্ঘটনার আশঙ্কা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ
নড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী হৃদয় হোসেন ও সিফাত জানান, প্রতিদিন কলেজে যাতায়াতের জন্য ছয়-সাতবার নদী পার হতে হয়। বই-খাতা ভিজে যাওয়ার ভয়ে তারা আতঙ্কে থাকেন। বর্ষায় ঝুঁকি আরও বাড়বে।
আবারো সময় চাচ্ছে ঠিকাদার
সেতুর নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা আবদুল ওয়াহাব মাদবর জানান, পাইলিং করতে সময় লেগেছে। এখন এক বছর সময় বাড়লে কাজ শেষ করতে পারবেন। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা বিল পেয়েছে।
এলজিইডি বলছে বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে
নড়িয়া এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী রাফেউল ইসলাম বলেন, “আগের ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বর্তমান ঠিকাদারকে তাগিদপত্র দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি একটি অস্থায়ী ফুট ব্রিজ নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে।”
বিডি প্রতিদিন/আশিক