সীমান্ত ঘেঁষা দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। বর্তমানে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৭০ জন।
এর আগে গত ২ জুন করোনায় আক্রান্ত হয় ৩০ জন, ১ জুন আক্রান্ত হয় ২২ জন। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বর্তমানে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ২৩৩ জন ও হাসপাতালে ৩৭ জন ভর্তি রয়েছেন এবং জিনোম সিকোয়েন্স এ পর্যন্ত ১৪ জনের নমুনা আইইডিসিআরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে বলেও জানান দিনাজপুর সিভিল সার্জন ডা. মো. আব্দুল কুদ্দুছ।
অপরদিকে জেলার সীমান্ত ঘেঁষা হাকিমপুরে করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় চরম আতংকে স্থানীয়রা। হাকিমপুরে স্থানীয় ১৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। গত ১৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকা পড়া ১৫৭ জন বাংলাদেশী। তার মধ্যে ৩ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
হাকিমপুর পৌর মেয়র জামিল হোসেন চলন্ত জানান, হিলিতে করোনা সংক্রমণ রোধে ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক ড্রাইভার-হেলপারদের র্যাপিড এন্টিজেম টেস্টের পর বাংলাদেশে প্রবেশকরণ অথবা সাময়িক ভাবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানান।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান জানান, করোনার ২য় ঢেউয়ের শুরুতে এখানে কোন করোনা রোগী ছিল না। এরপরে প্রতিদিনই করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে। বর্তমানে ১৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, স্থলবন্দরে আসা ভারতীয় প্রতিটি চালকের তাপমাত্রা পরিমাপ, মাস্ক পরা নিশ্চিত করা, জীবাণুমুক্ত করে দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।
জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব এবং সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, ভারতে আটকে পড়া ফিরে আসা বাংলাদেশীদের মধ্যে তিনজনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। আর জিনোম সিকোয়েন্স এ পর্যন্ত ১৪জনের নমুনা আইইডিসিআরে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। স্বাস্থবিধি মানতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রচারনা চালানো, ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ সবকিছু করা হলেও সাধারন মানুষ সচেতন হচ্ছে না, বিধায় দিন দিন বাড়ছে। সচেতন না হলে এটা রোধ করা সম্ভব না। তাই সবাইকে মাস্ক পরিধান করে স্বাস্থ্যবিধি মানার অনুরোধ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, গতকাল বৃহস্পতিবার আক্রান্ত ৩৫ জনসহ এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৫৮৯৩ জন। গত ২৪ ঘন্টায় ৮ জনসহ এ পর্যন্ত ৫৪৯৪ সুস্থ হয়েছেন। আর এ পর্যন্ত ১২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। তবে বর্তমানে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগী ২৭০ জন রয়েছে।
বিডি প্রতিদিন/আল আমীন