নেত্রকোনায় শুরু হয়েছে ঘরে ঘরে জ্বর, ঠান্ডা- কাশি। এর ওপর চলছে অবাধে চলাফেরা। সে তুলনায় নমুনা পরীক্ষা একেবারেই কম। ইতিমধ্যে দুর্গাপুরের বাজারে চায়ের দোকানে আড্ডাকে কেন্দ্র করে এক যুবক নিহতের ঘটনাও ঘটেছে।
জেলা শহরে সচেতনতার লক্ষ্যে প্রশাসনের নেওয়া নানা কর্মসূচি চললেও মাস্ক বিহীন বিভিন্ন বয়সের মানুষ চলাচল করছে। তবে সীমান্তে কঠোর নজরদারি রয়েছে বলেও জানায় সীমান্ত রক্ষী বিজিবি।
এদিকে, প্রতিদিন বাড়ছে উপজেলাভিত্তিক শনাক্তের হার। প্রতিদিন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে ঠান্ডা-কাশি জ্বরাক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। নেত্রকোনা শহরের নিউটাউন এলাকার সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নারায়ন কর্মকার আজ শনিবার সকালে জানান, 'নিউটাউন পুকুরপাড় নিবাসী একটি ভাড়া বাড়ির একজনের পুরো পরিবার করোনা আক্রান্ত। কিন্তু তাদের পরিবারের লোকাজন মানছেন না বিধি নিষেধ। এমনকি মাস্কও পড়ছেন না। প্রশাসন যদি কঠোর নজর না দেন তাহলে মহামারি ঠেকানো যাবে না।'
অন্যদিকে, কলমাকান্দা উপজেলার আজ শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের হিসেব অনুযায়ী, মোট ৩৮ জন করোনা শনাক্ত রয়েছেন। এর মধ্যে আটটি ইউনিয়নের কলমাকান্দা সদরেই ১৪ জন। রংছাতি ৭ জন, খারনৈ ৪ জন, নাজিরপুর ৪ জন, পোগলা ৪ জন, কৈলাটি ৪ জন ও বড়খাপন ১ জন।
এছাড়াও গত সপ্তাহ থেকে উপজেলার সীমান্ত তিন ইউনিয়নে লকডাউনের বিধি নিষেধ আরোপ করে স্থানীয় প্রশাসনের প্রজ্ঞাপণ জারি থাকবে পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত।
বিডি প্রতিদিন / অন্তরা কবির