কিশোরগঞ্জে করোনায় নতুন করে (বৃহস্পতিবার রাত ১০টা পর্যন্ত) ৬ জনের মৃত্যু এবং শনাক্ত হয়েছেন ৮৯ জন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের এবং মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭ হাজার ২৮৯ জন।
নতুন আক্রান্তদের মধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৩ জন, করিমগঞ্জে ৪ জন, পাকুন্দিয়ায় ৯ জন, কটিয়াদীতে ১৪ জন, কুলিয়ারচরে ৮ জন, ভৈরবে ২০ জন, নিকলীতে ২ জন, বাজিতপুরে ৫ জন, ইটনায় ২ জন, মিঠামেইনে ১ জন ও অষ্টগ্রামে ১ জন।
সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, ১০, ১১ ও ১২ জুলাই (আংশিক) কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি পিসিআর ল্যাব হতে (প্রি আইসোলেশনে ভর্তিকৃত জরুরি রোগীসহ) ১৭৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ১৪ জুলাই বাজিতপুর জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আরটি-পিসিআর ল্যাবে ৭৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এছাড়া শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৩৯ জন, কিশোরগঞ্জ বক্ষব্যাধি ক্লিনিকে ১০ জন, হোসেনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৪ জন, পাকুন্দিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫৫ জন, কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৭ জন, বাজিতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২২ জন ও ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৪২ জনসহ ২০৯ জনের রেপিড এন্টিজেন টেস্টে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিকে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন রোগী ভর্তি হয়েছেন ২৯ জন, সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র পেয়েছেন ১৯ জন, করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের এবং সন্দেহজনক করোনায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১০ জন। নিকলী উপজেলার ৬১ ও ৭০ বছর বয়সী দুজন পুরুষ এবং পাকুন্দিয়া উপজেলার ১৯ বছর বয়সী একজন পুরুষ মৃত্যুবরণ করেন। এছাড়া ভৈরব উপজেলার ৪০ বছর বয়সী একজন পুরুষ, তাড়াইল উপজেলার ৬৫ বছর বয়সী একজন নারী এবং ৭৬ বছর বয়সী একজন পুরুষ নিজ বাড়িতে মারা যান। জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন মোট ১১৯ জন।
সিভিল সার্জন আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৪২ জন। এ পর্যন্ত জেলায় মোট ৫ হাজার ৭৫১ জন সুস্থ হয়েছেন। বর্তমানে জেলায় সর্বেমোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ হাজার ৪১৯ জন। এরমধ্যে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় ৭১৯ জন, হোসেনপুরে ৩৯ জন, করিমগঞ্জে ৬৮ জন, তাড়াইলে ৪৪ জন, পাকুন্দিয়ায় ১২৪ জন, কটিয়াদীতে ১৫৮ জন, কুলিয়ারচরে ২২ জন, ভৈরবে ১৪১ জন, নিকলীতে ১২ জন, বাজিতপুরে ৫১ জন, ইটনায় ২৭ জন, মিঠামইনে ১২ জন ও অষ্টগ্রামে ২ জন।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে হোম কোয়ারেন্টাইনে / আইসোলেশনে রয়েছেন ১ হাজার ৩০৬ জন। আর হাসপাতাল আইসোলেশনে রয়েছেন ১১৩ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ হাজার ৮৪৫ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রেজিস্ট্রেশন করেছেন ১ লাখ ৫১ হাজার ৯৪১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন ২ হাজার ৬৪৮ জন। গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত কোভিশিল্ড ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৭৬ হাজার ৬৬৫ জন এবং মোট দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৫৯ হাজার ৩০৭ জন। এছাড়া গত ১৯ জুন থেকে সাইনোফার্ম ভ্যাক্সিনের প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ১৩ হাজার ২২৩ জন।
বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ