২৪ জানুয়ারি, ২০২২ ১১:৪৯

করোনা: কুষ্টিয়ায় ৫ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

করোনা: কুষ্টিয়ায় ৫ মাসের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত

ভারত সীমান্তবর্তী কুষ্টিয়া জেলায় এখন প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় জেলায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। আবার শনাক্তের সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে। 

করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সহিদা চৌধুরী (৬০) নামের আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা বেড়ে গিয়ে দাঁড়ালো ৭৯০ জনে। কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

এদিকে একদিনে (গত ২৪ ঘণ্টায়) এ জেলায় ৪০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। গত ৫ মাসের মধ্যে এটিই কুষ্টিয়া জেলায় সর্বোচ্চ করোনা শনাক্তের রেকর্ড বলে জানা গেছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ০১ শতাংশ। প্রতিদিনই জেলায় পাল্লা দিয়ে করোনার সংক্রামণ বাড়ছে।

ইতোমধ্যেই করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্টের জন্য কুষ্টিয়াকে উচ্চ ঝুঁকিপূর্ণ জেলা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গেল ডেলটা ভেরিয়েন্টের সময়ও কুষ্টিয়াতে করোনা সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছিল। 

হাসপাতালে পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মেজবাউল আলম জানান, এখন পর্যন্ত কুষ্টিয়া জেলায় করোনা পরীক্ষা হয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ৬২৭ জনের। রিপোর্ট পাওয়া গেছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৪৮৯ জনের। এর মধ্যে ১৯ হাজার ৩৯৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ১৮ হাজার ১৪৩ জন। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২০ জন। হাসপাতালে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ১৬ জন। আর হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ৪৬৫ জন।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার এ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, কুষ্টিয়ায় করোনা শনাক্তের সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সর্বোচ্চ প্রস্তুতি গ্রহণ করে রেখেছে। তবে করোনার ওমিক্রন ভেরিয়েন্ট এ আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে খুব বেশি লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না, তাই বেশিরভাগ রোগীই বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ হাসপাতালে করোনার জন্য ৫০ বেড রাখা হয়েছে।

এদিকে, জেলায় হু হু করে করোনা শনাক্তের সংখ্যা বাড়লেও মানুষ স্বাস্থ্যবিধি একেবারেই মানছে না। মাস্ক না পরেই অধিকাংশ মানুষ শহরে, হাটে, গ্রামে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করছেন।


বিডি প্রতিদিন/ ওয়াসিফ

সর্বশেষ খবর