১৪ অক্টোবর, ২০২১ ১৪:৫৮

শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে যাত্রা শুরু করল ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে যাত্রা শুরু করল ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের স্কুল শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিশুদের মধ্যে আত্ম-উন্নয়নে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশে ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) ও প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এর যৌথ উদ্যোগে যাত্রা শুরু করেছে ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি)। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আগামী ২০২২ সালের এপ্রিল নাগাদ দেশের ১৫ হাজার স্কুল শিক্ষার্থী বিশেষ করে নারী শিশুদের মধ্যে আত্ম-উন্নয়নে সচেতনতা তৈরি করা হবে।

সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে এই প্রজেক্টের উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মেহের আফরোজ চুমকি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড এমডি জাভেদ আখতার, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি, কয়েকজন কিশোরী-কিশোর ও অন্যান্যরা।

‘ডাভ’ এর ব্যতিক্রমী এই বৈশ্বিক উদ্যোগ ইতোমধ্যে বিশ্বের ১৪২টি দেশের ৩ কোটি ৫০ লাখ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। আগামী প্রজন্ম বিশেষ করে নারী শিশুদের নিজের বাহ্যিক অবয়ব সম্পর্কে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে বেড়ে উঠতে সহযোগিতা করা ও তাদের পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ডিএসইপি। এই পদক্ষেপের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ‘সেলফ-এস্টিম’ বিশেষজ্ঞরা।

এদিন অনুষ্ঠানে মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, কিশোরী-কিশোরদের সুস্বাস্থ্য সম্পর্কে সবার মাঝে সচেতনতা তৈরি করতে হবে। সমাজে বাল্যবিয়ের প্রবণতা আমাদের কিশোরীদের চলার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছে। তাই বাল্যবিয়ের সঙ্গে জড়িত পুরুষদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।’

ইউনিলিভার বাংলাদেশ (ইউবিএল) এর সিইও অ্যান্ড এমডি জাভেদ আখতার বলেন, ঘরে ঘরে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পৌঁছে দেয়ার পাশাপাশি ইউনিলিভার বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করছে। বাংলাদেশ সরকারের অংশীদার হিসেবে ইউনিলিভারের ব্র্যান্ডগুলো সামাজিক পরিবর্তনে অবদান রাখছে। এরই অংশ হিসেবে যাত্রা শুরু করেছে ডাভ এর সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট।

‘ডাভ’ তার ‘ডাভ সেলফ-এস্টিম প্রজেক্ট’ (ডিএসইপি) এর আওতায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৫ কোটি তরুণকে ক্ষমতায়নের মিশনে নেমেছে। কিন্তু ইউনিলিভার তা এককভাবে করতে পারবে না। আমাদের লক্ষ্য পূরণে সরকার, সুশীল সমাজ, উন্নয়ন অংশীদার, গণমাধ্যম ও বিশেষ করে আপনাদের সবার সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।

প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ওরলা মার্ফি বলেন, সমাজের সকল স্তরের কণ্ঠস্বর একত্রিত করতে এনজিওগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এদেশে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনাকালে আমরা তরুণদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। তারা আমাদের উৎসাহিত করে ও স্থানীয় সমস্যাগুলো সমাধানে নানাভাবে সাহায্য করছে।

বিডি প্রতিদিন/আবু জাফর

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর