শিরোনাম
শুক্রবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ ০০:০০ টা

উপকূলের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের মাছ ঘাট

চাঁদপুর প্রতিনিধি

উপকূলের ইলিশে সয়লাব চাঁদপুরের মাছ ঘাট

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীতে এ বছর আশানুরূপ ইলিশ ধরা না পড়লেও উপকূল এলাকার মাছে সয়লাব এ জেলার মাছ ঘাট। গত কয়েকদিন চাঁদপুর মাছ ঘাটে ভোলা, পটুয়াখালী ও নোয়াখালীসহ সমুদ্র তীরবর্তী অঞ্চল থেকে প্রচুর ইলিশ আমদানি হচ্ছে। সেগুলো প্যাকেট করে ট্রাক-ট্রেনযোগে চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মাছঘাটে ইলিশের দাম সাধ্যের মধ্যে থাকায় ক্রেতারাও স্বাচ্ছন্দ্যে মাছ কিনছেন। এখানে উপকূল থেকে আসা প্রতিটি ৭/৮শ’ গ্রাম সাইজের ইলিশের কেজি ৬০০ ও এক কেজি সাইজের ইলিশ ৯০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

চাঁদপুরের ইলিশের বিশ্বজুড়ে খ্যাতি থাকলেও নানা কারণে এখানকার পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। মতলবের ষাটনল, হাইমচরের চড় ভৈরবী, আমিরাবাদ, চাঁদপুর সদরের সফরমালী, রাজরাজেশ্বর, হরিণা ফেরিঘাটসহ কিছু এলাকায় ইলিশ মিলছে যৎসামান্য। নাব্যতা সংকট, কল-কারখানার বর্জ্য নদীতে ফেলা রোধ করা গেলে চাঁদপুরে আগের মতো ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনার কথা জানিয়েছেন বণিক সমিতির এক নেতা। ইলিশ গবেষক ড. আনিসুর রহমান বলেন, সরকার জাটকা রক্ষা, নাব্যতা সংকট ও দূষণ রোধসহ সব সমস্যা সমাধানে এগিয়ে এলে আগের মতো ঝাঁকে-ঝাঁকে ইলিশ আসবে পদ্মা-মেঘনায়। যা এখানকার জেলেদের মুখে ফোটাবে হাসি।

সরেজমিন দেখা যায়, চাঁদপুর বড় স্টেশন মৎস্য আড়তে ট্রলারযোগে ইলিশ ঘাটে ভেড়ার সঙ্গে সঙ্গে ধুম পড়ে যায় আড়তে তোলার। দাম হাঁকিয়ে প্যাকেটে ভরে পরে তা পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। বিদেশও যাচ্ছে এসব মাছ। সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান হচ্ছে স্থানীয় বিপুল সংখ্যক বেকার মানুষের। চাঁদপুরের কলগুলো চাহিদামতো বরফ সরবরাহ দিতে হিমশিম খাচ্ছে। আর বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং ইলিশ প্রক্রিয়াজাতকরণে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে। জানা যায়, কয়েকদিন ধরে দৈনিক ৯০ টন ইলিশ এই মৎস্য আড়তে আমদানি রপ্তানি হচ্ছে। যার মূল্য প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকা।

সর্বশেষ খবর