রবিবার, ৩১ মার্চ, ২০১৯ ০০:০০ টা

সিরাজগঞ্জের সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফিরছেই না

♦ প্রতিদিন ঘটছে দুর্ঘটনা
♦ দীর্ঘ হচ্ছে নিহতের তালিকা

আব্দুস সামাদ সায়েম, সিরাজগঞ্জ

সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে কিছুতেই ফিরছে না শৃঙ্খলা। যত্রতত্র সড়ক পারাপার, যানবাহনের বেপরোয়া গতি, ঝুঁকিপুর্ণ ওভারটেক ছলছে হরহামেশা। নেই পর্যাপ্ত ফুটওভার ব্রিজ। তার ওপর মহাসড়কে রিকশাভ্যান-সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করায় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দীর্ঘ হচ্ছে নিহতের তালিকা। পঙ্গুত্ববরণ করে মানবেতর জীবনযান করতে হচ্ছে অনেককে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, যানবাহন মালিক-চালকসহ সাধারণ মানুষ সচেতনা না হলে পুলিশের একার পক্ষে মহাসড়কে শৃঙ্খলা ফেরানো সম্ভব নয়। সচেতনমহল বলছে, ঝুঁকিপূর্ণ মোড় ও জনবহুল এলাকায় যানবাহনের স্পিড না কমানো এবং আইনশৃংখলা বাহিনীর দায়িত্ব অবহেলার কারণে বাড়ছে দুর্ঘটনা। আঞ্চলিক সড়কগুলোতে শ্যালো ইঞ্জিনচালিত নসিমন-করিমন-ভটভটির বেপরোয়া চলাচলও দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ। তারা মনে করেন, দুর্ঘটনা কমাতে হলে একদিকে যেমন মহাসড়কে ত্রুটিপূর্ণ ও অবৈধ যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেক ও যত্রতত্র পার্কিং বন্ধ করতে হবে, অন্যদিকে আঞ্চলিক সড়কগুলোতে বন্ধ করতে হবে অবৈধ নসিমন-করিমন চলাচল। সাধারণ যাত্রীরা জানান, ছাত্র আন্দোলনের পর কয়েকদিন সড়কে শৃঙ্খলা থাকলেও এখন আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। আইন হলেও কেউ তা মানছে না।  দূরপাল্লার যান চালক হাবিব ও আহেমদ আলী জানান, সবাই নয় গুটি কয়েক অদক্ষ চালকের বেপরোয়া গতি ও ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকের কারণে সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে। দুর্ঘটনা কমাতে হলে সাধারণ মানুষের জন্য সচেনতা কর্মসূচি, চালকদের প্রশিক্ষণ ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। সিরাজগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, গাড়ির মালিক-চালক, সাধারণ মানুষ সচেতন হলে সড়কে শৃঙ্খখা আনাসহ দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে। জানা যায়, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিমপাড় থেকে হাটিকুমরুল গোলচত্বর, হাটিকুমরুল গোলচত্বর থেকে নাটোরের কাছিকাটা, গোলচত্বর থেকে বগুড়ার শেরপুর ও পাবনার সাথিয়া পর্যন্ত প্রায় ৮৭ কি.মি. মহাসড়ক রয়েছে। এ মহাসড়ক দিয়ে প্রতিদিন উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২২টি জেলার হাজার হাজার যান চলাচল করে।

সর্বশেষ খবর