সিরাজগঞ্জের সয়দাবাদ-বেলকুচি সড়কের প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে লোহার মোটা পাত দিয়ে নির্মিত ১০টি তোরণকে স্থানীয়রা ‘মৃত্যু ফাঁদ’ নাম দিয়েছেন। কারণ এসব তোরণের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে কখন যে মাথা ফাটে- এই ভয়ে যানবাহনের যাত্রীরা তটস্থ। তোরণে ধাক্কা লেগে প্রায় প্রতিদিনই লোকজন আহত হচ্ছে। রাস্তার কংক্রিট ঘেঁষে স্থায়ী তোরণ নির্মাণ করার নিয়ম না থাকলেও সংসদ সদস্য আবদুল মমিন ম-ল (সিরাজগঞ্জ-৫) ব্যস্ততম সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে তার ছবিসংবলিত এই তোরণগুলো খাড়া করিয়েছেন। সওজ বিভাগ বলছে, তোরণগুলোর জন্য দুর্ঘটনা ঘটায় তা অপসারণ করার জন্য সংসদ সদস্যকে বারবার অনুরোধ করলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তাঁতশিল্প সমৃদ্ধ বেলকুচি উপজেলার সঙ্গে সিরাজগঞ্জ তথা দেশের অন্যান্য জেলার যোগাযোগের একমাত্র রাস্তা বেলকুচি-সিরাজগঞ্জ সয়দাবাদ সড়ক। সড়কটি ২ লেনের। এর মধ্যে একটি লেন অকেজো। একটি মাত্র লেন দিয়েই প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। সড়কটির বেলকুচির প্রবেশমুখ থেকে এনায়েতপুর পর্যন্ত প্রায় স্থায়ী তোরণ বসানো হয় বছর খানেক আগে। সরেজমিন দেখা যায়, ছোট-বড় যানবাহন তোরণের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে। রিকশা-ভ্যান রাস্তাঘেঁষে যাওয়ার সময় তোরণের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যাত্রীর মাথা ফেটে যাচ্ছে। স্থানীয় চা দোকানি আকরাম হোসেন ও ভ্যানচালক মফিজুল ইসলামসহ কয়েক ব্যক্তি জানান, রাতে অন্ধকারে রিকশা, ভ্যান যাওয়ার সময় তোরণের সঙ্গে ধাক্কা লেগে দুর্ঘটনায় পড়ে। তোরণের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা লেগে অনেক মানুষের মাথা ফেটে গেছে।
এ বিষয়ে সংসদ সদস্য আবদুল মমিন ম-লর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল ইসলাম প্রামাণিক জানান, তোরণগুলো অপসারণ করতে বা দূরে সরিয়ে নিতে সংসদ সদস্য আবদুল মমিন ম-লকে আবারো অনুরোধ করা হবে।