নওগাঁর মান্দায় ফসলি জমিতে একের পর এক খনন করা হচ্ছে পুকুর। খননের পর মাটি বিক্রি করা হচ্ছে বিভিন্ন ইটভাটায়। আইন না মেনে পুকুর খনন করায় ভূমির শ্রেণি পরিবর্তন হচ্ছে। কমছে ফসলি জমি। মাটিবহনকারী ট্রাক্টর অবাধ চলাচলের ফলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক। জানা যায়, মান্দার প্রসাদপুর ইউনিয়নের গোবিন্দপুর, খুদিয়াডাঙ্গার খুলুর বিল, তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের সিংগা, গনেশপুর ইউনিয়নের ভেবড়া, ভালাইন ইউনিয়নের বনতসর, ভারশোঁ ইউনিয়নের ঠাকুরমান্দাসহ বিভিন্ন এলাকায় পুকুর খননের হিড়িক পড়েছে। এছাড়া অনেক স্থানে ফসলি জমির মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে ইটভাটায়। এছাড়া নদী সংলগ্ন বাঁধের মাটিও কেটে নিচ্ছেন কিছু অসাধু ব্যক্তি। স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কোথাও কোথাও ভেঁকু মেশিন আবার কোথাও শ্রমিক লাগিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টরে করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক গোলাম ফারুক হোসেন জানান, ফসলি জমির উপরিভাগের ছয় ইঞ্চি পরিমাণ মাটিতে জৈব পদার্থ থাকায় একে টপসয়েল বলা হয়। জমির এই অংশ কোনোভাবেই কেটে নেওয়া উচিত নয়।