পর্যাপ্ত ডাস্টবিন না থাকায় কক্সবাজারের চকরিয়া পৌরশহর যেন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। এ পৌর এলাকাটি প্রথম শ্রেণির হলেও সাধারণ নাগরিকদের অনেকে নানা ধরনের সেবা বঞ্চিত। যত্রতত্র ময়লার কারণে অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোও যেন ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে আছে। নিয়মিত পরিষ্কার না করায় দুর্গন্ধের কারণে সড়কে চলাচলকারী সাধারণ মানুষ, স্কুল-কলেজগামী ছাত্রছাত্রী ও অফিসগামী লোকজনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সচেতনতার অভাবে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলার কারণে দুর্গন্ধের শহরে পরিণত হয়েছে চকরিয়া পৌরশহরের অধিকাংশ অলিগলি। সরেজমিন দেখা যায়, পৌর শহরের কাঁচাবাজার এলাকায় একটি, মহিলা কলেজের সামনে একটি ও পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে একটি ছাড়া আর কোথাও ডাস্টবিন নেই। শহরের অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়কের পাশেই ময়লার স্তূপ। এসব স্তূপে চলছে বেওয়ারিশ কুকুরের রাজত্ব। অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, প্রথম শ্রেণির পৌরসভা হলেও নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। জানা গেছে, কাগজে কলমে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ২০টি ডাস্টবিন থাকলেও বাস্তবে শুধু পৌরশহরের চিরিঙ্গায় ৩টি ডাস্টবিন আছে। আর পরিচ্ছন্ন কর্মী রয়েছেন নারীসহ ৩৬ জন। এর মধ্যে ২৫ জন নারী ঝাড়ুদার। ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি পিকআপ ও একটি স্কিড় রোলার আছে। এসব যানবাহন পৌরসভা এলাকার জন্য পর্যাপ্ত নয়। আবুল কাশেম নামের এক পরিচ্ছন্ন কর্মী বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় পৌরসভায় জনবল সংকট রয়েছে। ১১জন পুরুষ পরিচ্ছন্ন কর্মী। কিন্তু পৌরসভায় রয়েছে ৯টি ওয়ার্ড। নারী পরিচ্ছন্ন কর্মীরা সপ্তাহে দুইবার ঝাড়ু দেন। চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় সড়কের বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম বলেন, ডাস্টবিন না থাকায় আমার ৫ তলা বিল্ডিংয়ে ২০ পরিবারের ভাড়াটিয়া লোকজন সড়কের পাশে ময়লা-আবর্জনা ফেলতে বাধ্য হচ্ছেন। প্রতিদিন পরিষ্কার না করায় এসব আবর্জনা পঁচে-গলে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। সবুজবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা মোজাম্মেল হক বলেন, আবাসিক এলাকায় কোনো ডাস্টবিন নেই। এতে অন্তত হাজারো পরিবার সড়কের পাশে ময়লা ফেলছেন। ঠিকমতো পরিষ্কার না করায় এসব ময়লা আবজর্নার দুর্গন্ধের কারণে সড়কের পাশ দিয়ে নাকে রুমাল চেপে চলাচল করতে হয়। পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায় ২০টি ডাস্টবিন রয়েছে। সড়ক সংস্কারের সময় অধিকাংশ ডাস্টবিন ভেঙ্গে যায়। নতুন করে এসব ডাস্টবিন নির্মাণ করা হবে। তবে কেউ জায়গা না দেওয়ায় নতুন করে ডাস্টবিন নির্মাণ করা যাচ্ছে না। নতুন পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ দিয়ে জনবল সংকটের বিষয়টি সুরাহা করা হবে। উল্লেখ্য, চকরিয়া পৌরসভা ১৯৯৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে ১৫.৪৩ বর্গ কিলোমিটারের পৌরসভায় ১ লাখ ৫ হাজার ২৭০ জনসংখ্যার বসবাস। তৃতীয় শ্রেণি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এই পৌরসভা ২০০৮ সালে প্রথম শ্রেণির পৌরসভায় উন্নীত হয়।
শিরোনাম
- ওয়ার্ল্ড হ্যান্ডরাইটিং প্রতিযোগিতায় বিজয়ী রংপুরের দুই শিক্ষার্থী
- সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় গ্রেফতার সেলিম প্রধান
- বগুড়ায় অগ্নিকাণ্ডে কৃষকের তিন গরুর মৃত্যু
- গাজা দখল নিয়ে মতবিরোধ, নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে বরখাস্ত করলেন নেতানিয়াহু
- গাজা যুদ্ধবিরতি পর্যবেক্ষণে ইসরায়েলে ব্রিটিশ সেনা মোতায়েন
- গৃহবধূর মরদেহ রেখে স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা উধাও
- মাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের জন্য ১২.৫৩ কোটি পাঠ্যবই সরবরাহ করবে সরকার
- বিএনপি জনগণকে রেখে পালিয়ে যাওয়ার দল নয় : ডা. জাহিদ
- ভালো নির্বাচন না হলে নিন্দিত জাতিতে পরিণত হব : ইসি মাছউদ
- ভারতীয় পণ্যে শুল্ক কমিয়ে ১৫-১৬ শতাংশ করছে যুক্তরাষ্ট্র: রিপোর্ট
- শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি ইবতেদায়ী শিক্ষকদের, নতুন কর্মসূচি
- উগান্ডায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪৬
- এবার দলীয় নেতৃত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা
- চাঁদপুরে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত
- এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সভাপতি নিয়োগ বিষয়ক প্রজ্ঞাপন স্থগিত
- ৬ হাজার পিস ইয়াবাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
- বিচার প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সহযোগিতা অত্যন্ত প্রশংসনীয় : আইন উপদেষ্টা
- সাগরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা
- ঠাকুরগাঁওয়ে আদিবাসী কৃষকদের জীবন মানোন্নয়নে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন
- নওগাঁ জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত
ময়লার ভাগাড় চকরিয়া
চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রিন্ট ভার্সন

টপিক
এই বিভাগের আরও খবর
সর্বশেষ খবর

হামাস নির্মূলে গাজায় সেনা পাঠাতে প্রস্তুত মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ, দাবি ট্রাম্পের
৪ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম

ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন সৌদি ক্রাউন প্রিন্স, স্বাক্ষরিত হতে পারে প্রতিরক্ষা চুক্তি
১৮ ঘণ্টা আগে | পূর্ব-পশ্চিম