গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার কংশুর বদ্ধ খালটি বাঁধ কেটে উন্মুক্ত করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাশেদুর রহমান ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মনোয়ার হোসেনের উপস্থিতিতে গত সোমবার ওই খালের বাঁধ কাটা হয়। এর ফলে এলাকাবাসীর ৩০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান হলো। খালটি উন্মুক্ত হওয়ায় বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের জলাবদ্ধতা দূর হবে। একই সঙ্গে চাষাবাদের আওতায় আসবে ২ হাজার হেক্টর জমি। উপকৃত হবে লক্ষাধিক মানুষ। স্থানীয় করপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সাফু, ইউপি সদস্য রাশেদ আল-মামুন, গোলাপ ফকির, ইয়াসির আরাফাত, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মাদ আলী বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে খালটিতে ইজারার মাধ্যমে মাছ চাষ করা হচ্ছিল। এতে খালের দুই পাশের অন্তত ২ হাজার হেক্টর জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। খালটি উন্মুক্ত করায় মানুষ উপকৃত হবেন। নানাবিধ কাজে এই খালের পানি ব্যবহার করতে পারবেন তারা। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, খালটি বদ্ধ জলাশয় হিসেবে উপজেলা প্রশাসন থেকে ইজারা দেওয়া হয়। এতে বনগ্রাম, বলাকইড়, কংশুর, দুর্গাপুর, কাঠি ও কাজুলিয়া বিলে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। এলাকাবাসীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এবং উপজেলা জলমহাল কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কংশুর খালের ইজারা বাতিল করে জনগণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ইউএনও আরও বলেন, এই খালের বাঁধগুলো কেটে বনগ্রাম ও বলাকইড় বিলের সঙ্গে এবং মধুমতী এমবিআর চ্যানেলে সংযোগ করা হচ্ছে। এতে এলাকার মানুষ আগের মতো জোয়ার-ভাটার পানি ব্যবহার করতে পারবেন। চাষাবাদেও এ খালের পানি ব্যবহার করা যাবে।