নাটোরের লালপুরের বিলশলীয়া বিলে সরকারি খাসজমি দখল ও দুটি ব্রিজের প্রবেশমুখ বন্ধ করে দুটি পুকুর খননের অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই বিলের কয়েকশ’ একর জমিতে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এতে করে দুই তিন ফসলি জমি এক ফসলি এবং কোনো কোনো জমি অনাবাদীতে পরিণত হবে। পুকুর খননকারীদের দাবি, পানি প্রবাহের কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তবে পুকুরের মধ্যে সরকারি জায়গা থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন তারা। স্থানীয় আড়বাব ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, পুকুর খননের ব্যাপারে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। উল্টো অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে হুমকি ধমকি দেওয়া হয়। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘এই পুকুর খননের ফলে এলাকার যে ক্ষতি হবে তা পূরণ করা অসম্ভব। লালপুরের ইউএনও সহকারী কমিশনার (ভুমি) শাম্মী আক্তার বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়েছি। ব্রিজের মুখে যেভাবে পুকুর খনন করা হয়েছে- এতে কিছুটা হলেও পানি নিষ্কাশন বাধাগ্রস্ত হবে। আর খাস জমির বিষয়ে মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়েছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বিলশলীয়া বিলের দুটি ব্রিজের মাঝখানে দুটি পুকুর খনন করা হয়েছে। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে দুটি ব্রিজের মুখ। এতে বৃষ্টি হলে পানি প্রবাহের কোনো সুযোগ থাকবে না।