রবিবার, ২৭ জুন, ২০২১ ০০:০০ টা

দেশীয় মাছে জমজমাট বাজার

মোশাররফ হোসেন বেলাল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

দেশীয় মাছে জমজমাট বাজার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে বর্ষার শুরুতেই দেশীয় মাছে জমজমাট উপজেলার গাঙকুল পাড়ার মাছের বাজারটি। প্রতিদিন কাকডাকা ভোর থেকে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট হয়ে উঠে বাজারটি। এই বাজার থেকে মাছ কেনাবেচা করে লাভবান হচ্ছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার আগেই সদর উপজেলার গাঙকুল পাড়ার এই মাছের বাজারটি জমজমাট হয়ে ওঠে। প্রতিদিন কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম ও মিঠামইন, হবিগঞ্জ উপজেলার লাখাই, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড়, ভলাকুট, কাকরিয়া, ভিটাডুবিসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে জেলেরা নৌকায় করে এই বাজারে মিঠাপানির দেশীয় বোয়াল, চিংড়ি, কাচকি, টেংরা, পুঁটি, মলা, গুলশা, ঢেলা, বাতাসিসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ নিয়ে আসেন। এখান থেকে বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা পাইকারি মাছ কিনে নিয়ে বিক্রি করেন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে। বাজারে মাছ নিয়ে আসা জেলে নিরঞ্জন দাস বলেন, তারা রাতভর নাসিরনগরের হাওরে জাল দিয়ে মাছ শিকার করেন। ভোরের আলো ফোটার আগেই শিকার করা মাছ নৌকায় করে নিয়ে আসেন এই বাজারে। সরাইল উপজেলা থেকে বাজারে আসা পাইকার আবদুল কাদের বলেন, তিনি এই বাজার থেকে নিয়মিত দেশীয় প্রজাতির মাছ কিনে থাকেন।

তিনি বলেন, বাজারে সরবরাহ একটু কম হওয়ায় মাছের দাম কিছুটা বেশি। তিনি বলেন, এখান থেকে মাছ কিনে তিনি সরাইলের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। এই বাজার থেকে নিয়মিত মাছ কিনে তিনি লাভবান হচ্ছেন বলে জানান। জেলার মাধবপুর উপজেলা থেকে আসা পাইকার নূরুল হক জানান, তিনি প্রতিদিন এই বাজার থেকে দেশীয় মাছ কিনে মাধবপুরের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন।

তিনি বলেন, বাজারে বর্তমানে মাছের দাম একটু বেশি। স্থানীয় দিবর মৎস্য সমবায় সমিতির সদস্য বিনোদ দাস জানান, এক সময় বাজারটি ইজারা দেওয়া হতো। সে সময় বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা হয়রানির শিকার হতেন। কিন্তু বর্তমান সংসদ সদস্য বিএম ফরহাদ হোসেন বাজারটিকে ইজারামুক্ত করে দিয়েছেন। এতে বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা উভয়েই লাভবান হচ্ছেন। বাজার পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুশীল দাস জানান, বর্ষা মৌসুম ছাড়াও পুরো বছরই বাজারটি জমজমাট থাকে। প্রতিদিন এই বাজারে  কমপক্ষে ৩০ লাখ টাকার দেশীয় মাছ বিক্রি হয় বলে তিনি জানান।

সর্বশেষ খবর