মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০০:০০ টা

বগুড়ায় অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধে ৯৯৩ মামলা

আবদুর রহমান টুলু, বগুড়া

বগুড়ায় অবৈধ থ্রি-হুইলার বন্ধে ৯৯৩ মামলা

বগুড়ায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সিএনজিচালিত অটোরিকশার মধ্যে বেশির ভাগই অবৈধভাবে চলাচল করছে। জেলার বিভিন্ন সড়কে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশার ৯০ শতাংশের কোনো রেজিস্ট্রেশন, ফিটনেস, রুটপারমিট, চালকের লাইসেন্স নেই। এ ছাড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইলার চলাচলে নিষেধ থাকলেও জেলার মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে থ্রি-হুইলার চলছে। বগুড়া হাইওয়ে পুলিশ গত দেড় মাসে প্রায় ৯৯৩ মামলা করেছে। জেলা রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) অফিস সূত্রে জানা গেছে, জেলায় প্রায় ১ হাজার সিএনজিচালিত থ্রি-হুইলার রয়েছে। এগুলোর রুটপারমিট ও ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে। অথচ বগুড়া জেলার বিভিন্ন রুটে কমপক্ষে সাড়ে ৫ হাজার সিএনজি চলাচল করে। চলাচলকারী অধিকাংশ সিএনজির সড়কে চলাচলের কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। এসব যানবাহনের বৈধ কাগজপত্র না থাকায় সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

জানা যায়, বগুড়া শহরের সাতমাথা, চেলোপাড়া, চারমাথা, বনানী, দত্তবাড়ি বারোপুর, মহাস্থানগড় এলাকাসহ পুরো জেলায় অসংখ্য সিএনজি রয়েছে। সিএনজিগুলো দিনের বেলায় শহর থেকে বিভিন্ন রুটে চলাচল করে। এ সিএনজিগুলো শহরের মধ্যে যত্রতত্র স্ট্যান্ড গড়ে যানজটের সৃষ্টি করেছে। বৈধ কাগজপত্র না থাকার সুযোগে সিএনজি চালক-মালিকদের কাছ থেকে এক শ্রেণির সুবিদা আদায়কারী সংস্থা নিজেদের ফায়দা লুটছে। আবার কিছু সিএনজি অবৈধভাবে বগুড়া শহরে চলাচল করে রাজনৈতিক প্রভাবে। হাইওয়ে বগুড়া রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুনশী শাহাবুদ্দীন জানান, বগুড়া মহাসড়কে দুর্ঘটনারোধে নছিমন, করিমন, ইজিবাইক, ভটভটি, সিএনজিসহ অনুমোদনবিহীন অযান্ত্রিক যানবাহনের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মহাসড়কে থ্রি-হুইলার রোধকল্পে পুলিশ টহল ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এসব যানবহন মহাসড়ক হয়ে ধুনট, শেরপুর উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানে চলাচল করছে। জেলা শহরের বনানী সড়ক, দত্তবাড়ি, গোহাইল রোড, বাদুরতলা ও স্টেশন রোডে চলাচলকারী সিএনজির কারণে পুরো শহরে থাকে যানজট। হাইওয়ে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত দেড় মাসে মহাসড়কে সিএনজি, ইজিবাইক, নছিমন, করিমন, ভটভটি, অটোরিকশার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে ৯৯৩টি। এর মধ্যে সিএনজি ৩৫১, ইজিবাইক ৩২১, নছিমন ২৬, করিমন ৩৩, ভটভটি ৬৯, অটোরিকশা ৬১ এবং মহাসড়কে আইন অমান্য করায় অন্যান্য ১৩২টি যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, শহরের মধ্যে সিএনজি প্রবেশ নিষেধ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময় ছাড়া মূল শহরে সিএনজি প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। হালনাগাদ না থাকা সিএনজি আটক করা হয়। বিআরটিএ বগুড়ার সহকারী পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বগুড়ায় বিভিন্ন রুটে চলছে প্রায় সাড়ে ৫ হাজার সিএনজি। এর মধ্যে ১০ শতাংশ সিএনজির কাগজ রয়েছে। বাকি সিএনজি ও চালকদের কোনো বৈধ কাগজ নেই।

হালনাগাদ করার জন্য সিএনজি মালিকদের বিভিন্ন সময়ে বলা হয়েছে। কিন্তু তারপরও তারা হালনাগাদ করেনি।

সর্বশেষ খবর