দেশের বৃহত্তম ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা কৃষি খাতে অবদান রাখলেও কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় কারখানা এলাকার পরিবেশ এখন হুমকির মুখে। কারখানা থেকে নিঃসরিত ক্ষতিকর তরল পদার্থ ও অ্যামোনিয়া গ্যাস অপরিকল্পিতভাবে ভূমি এবং বাতাসে ছেড়ে দেওয়ায় স্থানীয় মানুষের বসবাস করাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। মরে যাচ্ছে গাছপালা, জমির ফসল, পুকুরের মাছসহ গবাদি পশু। গ্যাসের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুসহ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সমস্যা সমাধানে কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। দৈনিক ১৭০০ মেট্রিক টন সার উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন দেশের বৃহত্তর ইউরিয়া উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা। প্রতিষ্ঠানটি দেশের কৃষি উৎপাদন খাতে বড় অবদান রেখে গেলেও কারখানা কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় স্থানীয় পরিবেশ চরম হুমকির মুখে পড়েছে। কারখানা থেকে দৈনিক নিঃসরিত ক্ষতিকর পদার্থ ছড়িয়ে পড়ছে আশপাশের বসতবাড়ি, ফসলি জমি, পুকুরসহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। এ ছাড়াও দানাদার সার উৎপাদনে ব্যবহৃত বাড়তি অ্যামোনিয়া গ্যাস অপরিকল্পিতভাবে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে বাতাসে। তরল পদার্থ আর অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে বিষাক্ত হয়ে উঠেছে কারখানার চারপাশের পরিবেশ। তরল পদার্থ পানিতে মিশে বিষক্রিয়ায় মরে ভেসে উঠছে পুকুরের মাছ। সেই সঙ্গে এসব খেয়ে মারা যাচ্ছে হাঁস, মুরগিসহ গবাদি পশুও। অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে মরে যাচ্ছে স্থানীয় এলাকার গাছপালা, যেসব গাছ টিকে আছে সেগুলোতেও ফল ধরছে না বছরের পর বছর। আর কৃষকের ফসল মরে যাচ্ছে জমিতেই, তাই হচ্ছে না কাক্সিক্ষত ফলনও। এদিকে অ্যামোনিয়া গ্যাসের প্রভাবে প্রায় সময়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশুসহ স্থানীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থীরা।