বুধবার, ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ০০:০০ টা

ঘুষ মামলায় প্রকৌশলীর কারাদন্ড

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় ঘুষ গ্রহণের অপরাধে চুয়াডাঙ্গা জেলার স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মাহামুদ আলমকে (৫৩) দুটি ধারায় তিন বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। গতকাল দুপুরে কুুষ্টিয়ার বিশেষ দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আশরাফুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর আসামিকে পুলিশ পাহারায় কুষ্টিয়া  জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

 সাজাপ্রাপ্ত মাহামুদ আলম কুষ্টিয়া ছয় রাস্তার মোড় থানাপাড়া এলাকার মৃত আবদুল বারীর ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায় যশোর ডিভিশনের আওতায় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান  মেসার্স এম এম কামাল এন্টারপ্রাইজসহ আরও ১০টি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয় এবং তাদের পক্ষে একজন ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কাজ করেন। তিনি ১১টি প্যাকেজের কন্সট্রাকশন কাজের ৪৩ লাখ ১৫ হাজার ৮৫০ টাকার সরকারি কাজ সম্পন্ন করেন। ইঞ্জিনিয়ার মাহামুদ আলম উক্ত ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি ফেরতের জন্য দরখাস্ত করার সময় ঠিকাদার খাইরুল ইসলামের কাছ  থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা ঘুষ দাবি করেন। পরবর্তীতে উক্ত টাকার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ প্রদান করলে অভিযোগকারীকে ৬টি পারফরমেন্স সিকিউরিটি মানি  ফেরতের জন্য দরখাস্তে মেমো নম্বর দেওয়ার প্রতিশ্রুতির কথা বলেন। পরবর্তীতে ২০১৫ সালের জুলাইয়ের ৭ তারিখে ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয় ঢাকার অনুমোদনক্রমে দুর্নীতি দমন কমিশন বরাবর সহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দুর্নীতি দমন কমিশন উপ-পরিচালক মো. আবদুল গাফফারের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম ২০১৫ সালের ১২ আগস্ট ঠিকাদার খাইরুল ইসলাম কর্তৃক ঘুষের ৫০ হাজার টাকা প্রদানের সময় চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারীর প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মাহামুদ আলমকে হাতেনাতে আটক করে। এ ব্যাপারে দুদকের পক্ষ থেকে মামলা দায়ের হলে সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আদালত এ রায় প্রদান করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর