বৃহস্পতিবার, ২৬ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

হাসপাতালে বর্জ্যরে স্তূপ

কামরুজ্জামান সোহেল, ফরিদপুর

হাসপাতালে বর্জ্যরে স্তূপ

ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালের অভ্যন্তরে কেমিক্যালসহ হাসপাতালের বর্জ্যরে স্তূপ জমেছে। দীর্ঘদিন ধরে ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দুর্গন্ধের কারণে চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে হাসপাতালে ভর্তি থাকা রোগী, চিকিৎসকসহ আবাসিক এলাকার বাসিন্দারা। ময়লা-আবর্জনা থেকে ছড়ানো দুর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন হাসপাতালসহ আশপাশের মানুষ। এ ছাড়া পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। পৌরকর বকেয়া থাকায় জেনারেল হাসপাতালের ক্লিনিক্যাল বর্জ্য পরিষ্কার করা বন্ধ করে দিয়েছে পৌরসভা। প্রায় দুই মাস ধরে ময়লা পরিষ্কার না করায় হাসপাতাল ক্যাম্পাসের উত্তর দিকে ডাস্টবিন-সংলগ্ন সড়কে স্তূপাকৃতির বর্জ্য দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে, পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। সরেজমিন ফরিদপুর জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের মূল ভবনের পেছনের সার্জারি ওয়ার্ডের পাশে বিশাল আবর্জনার স্তূপ। ডাস্টবিন উপচে পড়ে কেমিক্যাল বর্জ্য ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তায়। এ রাস্তা মাড়িয়ে যাওয়া-আসা করতে হয় হাসপাতালের চিকিৎসক, সেবিকাসহ তিনটি আবাসিক ভবনে বসবাসকারী ১৭টি পরিবারের সদস্যদের। স্তূপাকৃতির ময়লার অদূরে পশ্চিম পাশে হাসপাতাল জামে মসজিদ। ওই মসজিদে পাঁচ ওয়াক্তের নামাজে হাসপাতাল-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও আশপাশের এলাকার লোকজন নিয়মিত নামাজ পড়েন। হাসপাতালে আসা সদর উপজেলার গেরদা ইউনিয়নের জামাল শেখ জানান, হাসপাতালের ভিতরে এমন দুর্গন্ধ যে সেখানে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়ে। হাসপাতালে মানুষ আসেন রোগ সারাতে। কিন্তু এখানে এসে উল্টো রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। হাসপাতালে আসা রোগীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে ডায়রিয়া ওয়ার্ড ও সার্জারি ওয়ার্ডের রোগী ও তাদের স্বজনদের। এ দুটি ওয়ার্ডের পাশেই আবর্জনার স্তূপ থেকে প্রচ  দুর্গন্ধ আসায় সেখানে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। কানাইপুর থেকে কামাল হোসেন সিরু তার মাকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছেন চিকিৎসার জন্য। তিনি বলেন, একটি হাসপাতালের পরিবেশ এমন হয় তা পৃথিবীর কোথাও এমন আছে কি না জানা নেই। এটি হাসপাতাল না বলে ডাস্টবিনের ভাগাড় বলাই ভালো। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে এখনই ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। হাসপাতাল মসজিদে নিয়মিত নামাজ পড়েন উত্তর আলীপুর খাপাড়া এলাকার আজিজ সরদার। তিনি বলেন, প্রচ  দুর্গন্ধের কারণে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে কষ্ট হয়। পচা দুর্গন্ধে মসজিদে বসা থাকা দুষ্কর। ফলে অনেকেই এখন মসজিদে আসেন না। হাসপাতালের আশপাশে থাকা বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের লোকজন হাসপাতাল কোয়ার্টারের নলকূপ থেকে পানি নেন।

সর্বশেষ খবর