রবিবার, ১২ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

মোংলায় সুপেয় পানির সংকট

বাগেরহাট প্রতিনিধি

মোংলায় সুপেয় পানির সংকট

শুকিয়ে গেছে কৃত্রিমভাবে পানি ধরে রাখার পুকুর

উপকূলীয় এলাকা বাগেরহাটের মোংলা পোর্ট পৌরসভায় সুপেয় পানির সংকট দীর্ঘদিনের। সুপেয়সহ অন্য কাজে ব্যবহৃত পানি নিয়েও পৌরবাসীর ভোগান্তির শেষ নেই। এ সংকট সমাধানে ২০০৮ সালে ১৭ কোটি টাকা ব্যয়ে পৌর শহরের মাছমারা এলাকায় পুকুর খনন করে কৃত্রিমভাবে পানি ধরে বাসিন্দাদের চাহিদা মেটানো হতো। তাতেও কাজ না হওয়ায় ২০১৬ সালে ১৪ কোটি টাকা ব্যয়ে আরও একটি পুকুর খনন করা হয়। ৮৩ একর জায়গার ওপর মোংলা পোর্ট পৌরসভা ১০ ফুট গভীরতার পুকুর খননসহ দুটি ওভারহেড ট্যাংকও নির্মাণ করে। পৌর কর্তৃপক্ষের সুপেয় পানি সংরক্ষণের পুকুর দুটি চলতি শুষ্ক মৌসুমে শুকিয়ে গেছে। মোংলা পোর্ট পৌর কর্তৃপক্ষ জানায়, এ পুকুর দুটিতে বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি সংরক্ষণ করে তা রিফাইনারি (বিশুদ্ধকরণ) করে পৌরবাসীর মধ্যে সরবরাহ করা হতো। এ বছর অনাবৃষ্টির কারণে পুকুর দুটি শুকিয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌর শহরের বাসিন্দাদেরও ভোগান্তি বেড়েছে। বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দারা জানান, পৌর শহরের কোথাও মিষ্টি পানির উৎস নেই। পৌর কর্তৃপক্ষের একমাত্র সুপেয় পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে পানি দেওয়া হলেও তা ঠিকমতো পাই না। এ কারণে আমাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। মোংলা পোর্ট পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার জাহিদ বলেন, পৌরসভায় ২ লাখ বাসিন্দার প্রতিদিন ৬০ লাখ লিটার পানির চাহিদা থাকলেও ৩০ লাখ লিটার সরবরাহ করা হচ্ছে। পানির উৎস শুকিয়ে যাওয়ায় ৩০ লাখ লিটার পানির ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুর রহমান বলেন, বিগত সময়ে অপরিকল্পিতভাবে পুকুর দুটি খননের কারণে পানি সংরক্ষণ করা যাচ্ছে না। পুকুর দুটি শুকিয়ে বাসিন্দাদের দুর্দশা সৃষ্টি হয়েছে। পুকুর খননে যারা অনিয়ম করেছেন তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। মেয়র আরও বলেন, পৌর বাসিন্দাদের ভোগান্তি লাঘবে ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বর্ধিত প্রকল্প-সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর