বৃহস্পতিবার, ২৩ জুন, ২০২২ ০০:০০ টা

উৎসবের আমেজ পদ্মাপাড়ে

স্বজনদের বাসাবাড়িতেও ভিড়

বেলাল রিজভী, মাদারীপুর

উৎসবের আমেজ পদ্মাপাড়ে

শনিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে স্বপ্নের পদ্মা সেতুর। আর সেতু উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার বিভিন্ন বাজার, রাস্তাঘাট সাজানো হচ্ছে বর্ণিল সাজে। উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শিবচরের বাংলাবাজার ঘাটে জনসমাবেশ স্থলে তৈরি করা হচ্ছে মঞ্চ, জনসমাবেশ স্থল। সমাগম হবে ১০ লাখ লোকের। আলোকসজ্জায় সজ্জিত হচ্ছে চারপাশ। ছয় দিনব্যাপী আয়োজন করা হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। গান, নাটক, লেজার শোসহ নানা ধরনের অনুষ্ঠান হবে। গান পরিবেশন করবেন মমতাজসহ বরেণ্য শিল্পীরা। এসব আয়োজনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে মাদারীপুর তথা পদ্মাপাড়ের জেলাগুলোতে। গতকাল সকালে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজন করা হয়েছে আনন্দ শোভাযাত্রা। একাধিক সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী জনসভাকে ঘিরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাচ্চর ও পৌর বাজারের আবাসিক হোটেলগুলোতে কোনো কক্ষ খালি নেই। ইতোমধ্যে হোটেলগুলোতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বুকিং করে রেখেছেন। আবাসিক হোটেল মালিক সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার থেকে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে হোটেলগুলোর সিট বুক করে রাখা হয়েছে। যার কারণে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা অনেকেই হোটেলে সিট খালি না পেয়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন। শিবচর পৌর বাজারে হোটেল আল মকিম, হোটেল খান, হোটেল ৭১ উৎসব ও হোটেল আরিফ নামে ৪টি হোটেল ও পাচ্চর বাজারে হোটেল সোনার বাংলা নামে ১টি আবাসিক হোটেল রয়েছে। এসব হোটেলে প্রায় দেড় শ সিট রয়েছে। বছরের অধিকাংশ সময় হোটেলগুলোর রুম বেশির ভাগ খালিই থাকে। তবে সেতু উদ্বোধনের জনসভাকে ঘিরে প্রত্যেকটি হোটেলের রুম আগে থেকেই ভাড়া নেওয়া হয়ে গেছে। আগামী পাঁচ দিন পর্যন্ত কোনো রুম খালি হচ্ছে না বলে হোটেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভার নিউজ কাভার করতে ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক শিবচর আসবেন, তাদের থাকার জায়গা নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। ঢাকা থেকে আসা কয়েকজন সাংবাদিক ইতোমধ্যে নিউজ কাভারেজ করতে শিবচর চলে আসায় বিপাকে পড়েছেন তারা। হোটেল আল মকিমের ম্যানেজার মো. রাসেল বলেন, আমাদের হোটেলের সব রুম বুকিং দেওয়া আছে। গতকাল থেকে ২৫ তারিখ পর্যন্ত প্রশাসনের পক্ষ থেকে রুমগুলো বুক করা হয়েছে। এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার অন্যান্য আবাসিক হোটেলেও কোনো রুম খালি নেই। হোটেল আরিফ-এর মালিক নয়ন ফকির বলেন, আমার হোটেলে যে কয়টি সিট ছিল তা আজ বুকিং হয়ে গেছে। যারা হোটেলে উঠেছে তারা আগামী ২৬ তারিখ যাবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর