শনিবার, ৩০ জুলাই, ২০২২ ০০:০০ টা

মৎস্য বন্দর মহিপুর এখন সরব

সমুদ্রে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

গভীর সমুদ্রে জেলেদের জালে ধরা পড়ছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশসহ নানা প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ। সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় ধরা পড়ছে এসব মাছ। তাই জেলে, শ্রমিক, ব্যবসায়ীদের হাঁকডাকে সরব পুরো মৎস্য বন্দর। বেচাকেনা চলছে হরদমে। দিন রাত চোখে পড়ার মতো কর্মব্যস্ততা মৎস্য আড়তগুলোতে। সাগরে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় খুশি আড়তদার ও জেলেরা। তবে মাছের চড়া দাম থাকায় হতাশা প্রকাশ করলেন পাইকারি ক্রেতা ও বিক্রেতারা। এদিকে বরফ সংকটের কারণে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে গেছে বলে ব্যবসায়ীদের অভিযোগ রয়েছে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে চাহিদামতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে না পারায় বরফের কিছুটা সংকট রয়েছে বলে বরফকল মালিকরা জানিয়েছেন।

গতকাল সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েক দিন আগেও যেখানে ছিল সুনসান নীবরতা, সেই মৎস্য বন্দরে এখন মানুষের কোলাহলে মুখর। গভীর সমুদ্র থেকে একের পর এক মাছধরা ট্রলার বোঝাই হয়ে আসছে। আর টুকরিতে করে শ্রমিকরা মাছ তুলে নিয়ে যাচ্ছে আড়তে। সেই মাছ বিক্রি করছেন আড়ত মালিকাকের কাছে। ক্রয়কৃত মাছ প্রক্রিয়াজাত করে ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠাচ্ছেন। এসব আড়তঘাটের সামনে মাছ পরিবহনের জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে রয়েছে ট্রাক ও পিকআপ। জেলে ও স্থানীয়রা জানান, সাগরে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর জাল ফেলে এফ বি মুরছালিন ১২০ মন, এফ বি প্রিন্স ১৮০ মন, এফ বি আবদুস সত্তার ১৫০, এফ বি মফিজ ৭৫ মন, এফ বি খালেক ৯৫ মন, এফ বি তামান্না ট্রলার ১০ মন মাছ পেয়েছে। এসব মাছ তারা স্থানীয় আড়তে বিক্রি করেছেন। তবে বড় সাইজের মাছ ৪৮ হাজার টাকা মন দরে বিক্রি হয়েছে।

এ ছাড়া মাঝারি সাইজের মাছ ২৪ থেকে ২৫ হাজার ও ছোট মাছ সাইজের মাছ ১৭ থেকে ১৮ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হয়। এফবি জুবায়ের ট্রলারের মাঝি আনিসুর রহমান বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে গিয়ে প্রথমবারের মতো জাল ফেলে ৩ লাখ ১২ হাজার টাকার মাছ পেয়েছেন। তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হয়েছে।

আলীপুর-কুয়াকাটা মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আনছার উদ্দিন মোল্লা বলেন, বর্তমানে গভীর সমুদ্রে বেশ ইলিশ ধরা পড়ছে।

সর্বশেষ খবর