শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

বেহাল মহাসড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

বছর ঘুরতেই ছোটবড় গর্ত

লালমনিরহাট প্রতিনিধি

বেহাল মহাসড়কে সীমাহীন দুর্ভোগ

খানাখন্দে ভরা বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকা মহাসড়ক -বাংলাদেশ প্রতিদিন

লালমনিরহাটের পাটগ্রামের বুড়িমারী স্থলবন্দর-ঢাকা মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। উপজেলার চিলার বাজার এলাকার টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ থেকে পৌর শহরের পুরাতন তেলের পাম্প পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা। রাস্তাটি দায়সারাভাবে সংস্কার করায় প্রতিবছর দুর্ভোগ পোহান লোকজন।  সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আওতাধীন এ মহাসড়কের অধিকাংশ স্থানেই ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় রাস্তায় কাদা পানি জমে থাকছে। টেকসই সংস্কারের অভাবে কিছুদিন পরই বিভিন্ন স্থানে বেইজ ভেঙে পাথর সরে যায়। কিছুদিন পর আবার সংস্কার করা হয়। বছর না ঘুরতেই তৈরি হয় ছোটবড় গর্ত। প্রতিদিন বুড়িমারী বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে পণ্যবাহী গাড়ি, দূরপাল্লার কোচ চলাচল করে। এ পথ দিয়ে যাতায়াত করেন বিভিন্ন দেশের পাসপোর্টধারী যাত্রীরা। মহাসড়কের বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হন চলাচলকারীরা। বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে লালমনিরহাট জেলা শহরের দূরত্ব প্রায় ১০০ কিলোমিটার। সড়ক পথে ঢাকা, রংপুর, লালমনিরহাট যাতায়াতের এটি প্রধান সড়ক হওয়ায় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রীসাধারণের কষ্টের শেষ নেই। জানা যায়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বড়বাড়ী-লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের বুড়িমারী শূন্যরেখা থেকে ১০ কিলোমিটার ২৮ কোটি টাকায় রাস্তা সংস্কার করা হয়। কিছুদিন না যেতেই সড়কের কার্পেটিং ও বিটুমিন উঠে সৃষ্টি হয় গর্তের। বড় বড় গর্তে আড়াআড়িভাবে (এইচবিবি) হেরিংবোন দেওয়া হয়েছে। এতে কাজ না হওয়ায় ব্যস্ততম এ সড়কে সমস্যা রয়েই গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পাটগ্রাম পৌর এলাকার বানিয়াপাড়া আন্তঃজেলা মোড় থেকে পুরাতন তেলপাম্প পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। এ মহাসড়ক হয়ে বুড়িমারী, পাটগ্রাম, দহগ্রাম, কুচলিবাড়ী, দহগ্রাম ও বাউরা ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ চলাচল করেন। এছাড়া সড়কের পাশে রয়েছে ২০টির বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক হাজার শিক্ষার্থীও ব্যবহার করে এ মহাসড়ক। পাটগ্রাম মহিলা মহাবিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক প্রথমবর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতি নাঈম অন্যন্যা বলেন, বুড়িমারী-আন্তঃজেলা মহাসড়ক হয়ে কলেজে যেতে হয়। রাস্তাটিতে গর্ত হয়ে পানি জমে থাকে। হাঁটার সময় পানি ছিটে গায়ে পড়ে।  ট্রাকচালক হাবিব মিয়া জানান, এ মহাসড়ক হয়ে লোড গাড়ি চালাতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। অনেক সময় সড়কের গর্তে চাকা পড়ে পাংচার হয়। লোহার পাতি ভেঙে গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। লালমনিরহাট সড়ক বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘মহাসড়কটি সংস্কারে ইতোমধ্যে টেন্ডার হয়েছে। গত জানুয়ারিতে কাজ পেয়েছে বরিশালের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়া হয়েছে মার্চ মাসে। তারা কাজ শুরু করতে দেরি করছে-এজন্য তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর