নাটোরে গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে সরকার ফার্মেসিতে শিশু সন্তানকে নিয়ে ১৫ জন মা এসেছেন মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। শুধু তারাই নন, কোমর, হাঁটু, বুক ব্যথাসহ নানা রোগ নিয়ে এসেছেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ। এসব রোগীর চিকিৎসা দিচ্ছেন মাধ্যমিক পাস করা ‘মা ও শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ’ চিকিৎসক পরিচয়দানকারী নাজমুল হাসান। নিজের নামের পাশে বিভিন্ন ডিগ্রি ব্যবহার করে এক যুগ ধরে মানুষের সঙ্গে চিকিৎসার নামে প্রতারণা করছেন তিনি। গুরুদাসপুর পৌর সদরের চাঁচকৈড় বাজারে সরকার ফার্মেসি নামের দুটি কক্ষই তার চিকিৎসালয়। এই চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র থেকে জানা গেছে, সিপিটি (ঢাকা) ও ডিএমএফ (নাটোর) নামের ১৫ দিন মেয়াদি কোর্স করেছেন তিনি। গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, এমবিবিএসে উত্তীর্ণ না হয়ে কেউ সিপিটি ও ডিএমএফ কোর্স করতে পারবেন না। তাছাড়া চিকিৎসা শাস্ত্রে ১৫ দিনের সিপিটি ও ডিএমএফ নামের কোর্স নেই। স্থানীয়রা জানান, মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা শুরু করেছিলেন নাজমুল হাসান। এরপর থেকে আশপাশের এলাকার মানুষ তাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবেই জানেন। শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ প্রতিদিন ভিড় জমান নাজমুলের চেম্বারে। চিকিৎসা ফি নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার কমিশনও নেন এই নামধারী চিকিৎসক। নাজমুল হাসান বলেন, একটি আলিয়া মাদরাসা থেকে মাধ্যমিক পাসের পর ঢাকা শিশু হাসপাতাল থেকে মা ও শিশু রোগের ওপর ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছি। এ ছাড়া নাটোর থেকে ডিএমএফ, ঢাকা থেকে সিপিটি কোর্সও সম্পন্ন করেছি। গুরুতর রোগীর ক্ষেত্রে স্থানীয় এমবিবিএস চিকিৎসকদের সহযোগিতা নিয়ে ব্যবস্থাপত্র দেই। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বলেন, দ্রুত তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।