রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

সার নিয়ে তেলেসমাতি

প্রতিদিন ডেস্ক

চাঁপাইনবাবগঞ্জে সারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে অতিরিক্ত মূল্য আদায় করায় চাষাবাদ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন কৃষক। এমওপি, টিএসপি, ইউরিয়া সার সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি বস্তায় ৩০০-৪০০ টাকা বেশি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ফলে চলতি আমন আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন চাষিরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জে বিসিআইসির তালিকাভুক্ত ৫৮ ও বিএডিসির তালিকাভুক্ত ৩২ জন সার ডিলার রয়েছেন। এরমধ্যে সদর উপজেলার আছেন বিসিআইসির ১৫ এবং বিএডিসির ছয়জন ডিলার। চলতি আমন মৌসুমে সদর উপজেলায় ইউরিয়া সার বরাদ্দ রয়েছে ৪ হাজার মেট্রিক টন। অভিযোগ উঠেছে, কিছু কিছু ডিলার সার উত্তোলন করে বিভিন্ন গুদামে মজুদ রাখছেন। এমনকি আইন ভঙ্গ করে নির্দিষ্ট এলাকার বাইরেও অধিক মুনাফার লোভে সার বিক্রি করছেন। যে কারণে এ উপজেলার কৃষকরা চাহিদা অনুযায়ী সার পাচ্ছেন না। সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কানিজ তাসনোভা বলেন, সার ডিলারদের নিয়মিত মনিটরিং করা হয় এবং মজুদ সারের তালিকা টাঙানো বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া ডিলারদের রসিদের মাধ্যমে কৃষকদের কাছে সার দিতে হবে। বেশিমূল্যে সার বিক্রির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে উত্তরের আরেক জেলা নাটোরে সার সংকট ও দাম বেশি নেওয়ায় কৃষকরা দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। অভিযোগ আছে, পর্যাপ্ত মজুদ না থাকায় বর্তমানে নাটোরে চাহিদা অনুযায়ী পটাশ সার মিলছে না। সিন্ডিকেট করে এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী-মজুদদার। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হলেও অবৈধভাবে সার মুজদ ঠেকানো যাচ্ছে না। এ সংকট নিরসনে জেলা প্রশাসক ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর বরাবর আবেদন জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। সিন্ডিকেট করে সারের সংকট তৈরির বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর