রবিবার, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

১০০-এর জনবল দিয়ে চলছে ২৫০ শয্যার হাসপাতাল

নওগাঁ জেনারেল হাসপাতাল

নওগাঁ প্রতিনিধি

নওগাঁ ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের প্রশাসনিক অনুমোদন রয়েছে শুধু মুখে মুখে। সেবা কার্যক্রম চলছে আগের ১০০ শয্যার লোকবল দিয়ে। চিকিৎসক সংকটে ভেঙে পড়েছে স্বাস্থ্যসেবা। দ্রুত জনবল নিয়োগসহ অবকাঠামো উন্নয়নের দাবি কর্তৃপক্ষসহ জেলাবাসীর। জানা যায়, নওগাঁ জেলার ১১ উপজেলার জনসংখ্যা প্রায় ২৮ লাখ। ১৯৬৯ সালে ৫০ শয্যার নওগাঁ সদর হাসপাতাল চালু হয়। ২০১৩ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। পরবর্তীতে প্রায় ২০ কোটি ৫৪ লাখ টাকা ব্যয়ে আরও ১৫০ শয্যাবিশিষ্ট আটতলা ভবনের নির্মাণকাজ শুরু হয়। বর্তমানে ভবনটির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। পুরনো ভবনের সঙ্গে নতুন ভবন যুক্ত হয়ে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে ২০২০ সালের ৩১ আগস্ট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের কার্যক্রম চালানোর জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেওয়ার কথা থাকলেও তা এখন শুধু মুখে। বাস্তবে এর কোনো কার্যক্রম নেই। আগের জনবল দিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে। জেনারেল হাসপাতাল হওয়ার পর থেকে সেবা নিতে বেড়েছে রোগী। জেলাবাসীর ভরসার একমাত্র আস্থা এ হাসপাতাল। উপজেলা থেকেও এখানে সেবা নিতে আসেন রোগীরা। হাসপাতালের কেবিনগুলোর কার্যক্রম শেষ হলেও তা চালু হয়নি। এতে সরকার যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে তেমনি চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হচ্ছে জেলাবাসী। হাসপাতালে শয্যা বাড়ার পর স্থানীয় বাসিন্দারা আশা করছিলেন সেবার মানও বাড়বে। বাস্তব চিত্র তার উল্টো। ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল হলেও কার্যক্রম চলছে ১০০ শয্যার জনবল দিয়ে। আবার ওই ১০০ শয্যার জন্য যে পরিমাণ চিকিৎসক প্রয়োজন তাও নেই। এতে করে বাড়তি রোগী সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১০০ শয্যার জন্য চিকিৎসক থাকার কথা ৪৫ জন, সেখানে রয়েছেন মাত্র ২৪ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর পদ রয়েছে ১৩০টি। কর্মরত আছেন মাত্র ৫৭ জন। আর নার্সের ৮১টি পদের বিপরিতে কর্মরত আছেন মাত্র ১৭ জন। প্রতিদিন আউটডোরে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ এবং ইনডোরে দুই শতাধিক রোগীর চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়। হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জাহিদ নজরুল ইসলাম বলেন, ২৫০ শয্যার হাসপাতাল বলা হলেও এখন পর্যন্ত অনুমোদন রয়েছে ১০০ শয্যার। তবে এ ১০০ শয্যা হাসপাতাল চালাতে যে পরিমাণ জনবল দরকার তা নেই। এতে চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানানো হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি। অনুমোদন পেলে ডাক্তার, সেবিকা, ওষুধ ও অবকাঠামোসহ সব দ্বিগুণ হবে। তখন সেবার মান বাড়বে।

তিনি আরও বলেন, নওগাঁ মেডিকেল কলেজের নিজস্ব কোনো ভৌত অবকাঠামো না থাকায় হাসপাতালের পুরাতন ভবনের দ্বিতীয় তলায় তাদের কার্যক্রম চলছে। এ ভবন থেকে মেডিকেল কলেজ সরানোর প্রয়োজন।

২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি কার্যক্রম শুরুর পর পুরাতন ভবনে মেডিকেল কলেজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর