শুক্রবার, ৪ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

লক্ষ্মীপুরে গ্রামেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু, হাসপাতালে ভিড়

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরে গ্রামেও ছড়িয়েছে ডেঙ্গু, হাসপাতালে ভিড়

সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ডেঙ্গু রোগী

ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী দিন দিন বাড়ছে লক্ষ্মীপুরে। এ রোগের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়েছে জেলার বিভিন্ন গ্রামেও। প্রতিদিন হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন নতুন রোগী। বর্তমানে সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন ১৪ জন রোগী। ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। পৌর এলাকার ড্রেন পরিষ্কার করার পাশাপাশি খানাখন্দ ও ডোবায় জমে থাকা পানি নিষ্কাশনের দাবি জানিয়েছেন পৌরবাসী। উপকূলীয় জেলা লক্ষ্মীপুরে ডেঙ্গু ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। মঙ্গলবার থেকে বুধবার পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ জন। সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। রোগীর চাপে এখানে ডায়রিয়া বিভাগে দুটি ডেঙ্গু ইউনিট চালু করেছে কর্তৃপক্ষ। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকে ঢাকা থেকে এসেছেন। কেউ কেউ এলাকা থেকেই আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, পৌর এলাকাসহ গ্রাম অঞ্চলেও মশা নিধনে নেওয়া হয়নি প্রয়োজনীয় কোনো ব্যবস্থা। লক্ষ্মীপুর পৌর এলাকার ড্রেনে ময়লা-আবর্জনা ও পচা পানি জমে থাকায় এডিশ মশার আতঙ্কে রয়েছেন পৌরবাসী। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরে এ মৌসুমে ১৩৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ১৩০ সদর হাসপাতালে ও ৯ জন কমলনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। শুধু অক্টোবর মাসেই সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৬৯ জন। বর্তমানে ১৪ জন রোগীকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকেও অনেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ইসমাইল হোসেন নামে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানান, বাড়ির আশপাশে মশার উপদ্রব বেড়েছে। হঠাৎ জ্বর এলে চিকিৎসকের পরামর্শে রক্ত পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। এমরান হোসেন নামে অন্য এক রোগী জানান, ঢাকায় একটি গার্মেন্টেসে কাজ করতেন তিনি। সেখানে জ্বর এলে গ্রামের বাড়ি আসেন। পরে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে। সদর হাসপাতালের শিশু কনসালটেন্ট ডা. মোরশেদ আলম হিরু বলেন, শিশুরাও ডেঙ্গু আক্রান্ত হচ্ছে। সন্ধ্যার পরই ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ করতে হবে। রাতে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে ঘুমানোর পরামর্শ দেন তিনি। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আনোয়ার হোসেন বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি মানুষের ঘরবাড়ি ও আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পৌর মেয়র মোজাম্মেল হায়দার ভূঁইয়া মাসুম বলেন, মশা প্রতিরোধে দেড় মাস আগে থেকে হাসপাতাল ও পৌর এলাকায় ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এ কার্যক্রম চলমান আছে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।

 

সর্বশেষ খবর