সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের কারিগর

দিনাজপুর প্রতিনিধি 

লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত দিনাজপুরের কারিগর

উত্তরের দিনাজপুরসহ কয়েক জেলায় দরজায় কড়া নাড়ছে শীতের আমেজ। বিকালে হালকা ঠান্ডা, রাতে আর সকালে মৃদুু শীত শীত ভাব বলে দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। আর সকালের মিষ্টি রোদে মাঠের সবুজ ঘাসের গায়ে লেগে থাকা শিশির বিন্দুর ঝলকানি শীতের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। এদিকে, শীতের আগমনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে শীত নিবারণে লেপ-তোশক তৈরিতে ব্যস্ত কারিগররা। প্রতিটি এলাকায় শীত জেঁকে বসার আগেই শীত নিবারণের জন্য লেপ-তোশক তৈরির দোকানে ভিড় করছে মানুষ। শীতের কারণে অনেকে হালকা কাঁথা ও কম্বল ব্যবহার শুরু করেছেন। লেপ-তোশক দোকানদাররা জানান, শীত মৌসুমে প্রতি দোকানে প্রায় ১০০ থেকে ২৫০টি লেপ-তোশক ও জাজিম কেনাবেচা হয়। তারা জানান, শীত আসার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বিভিন্ন লেপ-তোশক কারিগর ও ব্যবসায়ীর মাঝে কর্মচাঞ্চল্যতা ফিরে এসেছে। দিনাজপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার ছোট-বড় হাটবাজারগুলোয় জাজিম, বালিশ, লেপ, তোশক তৈরি ও বিক্রির কাজে শতাধিক কারিগর ও ব্যবসায়ী নিয়োজিত। এবার ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায় একটি লেপ তৈরিতে খরচ হয়। গত বছরের তুলনায় এ বছর লেপ-তোশকের দাম একটু বেশি। কেননা এ বছর কাপড় ও তুলা বাড়তি দামে কিনতে হয়েছে বলে জানান তারা। কাহারোলের তোশক ব্যবসায়ী জলিল জানান, বর্তমানে ভালো মুনাফা এবং বেশি বিক্রির আশায় দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন তারা। এবার তুলার দাম বেশি। বর্তমানে কালার তুলা প্রতি কেজি ৫০ টাকা, মিশালি তুলা ৪০ টাকা, শিমুল তুলা ৪৫০ টাকা ও সাদা তুলা ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কারিগর হাসান জানান, তারা ৪-৫ হাতের একটি লেপ ২ ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করে দিতে পারেন। অপরদিকে শীত মৌসুম শুরুতেই বিভিন্ন গ্রাম্য পরিবারের গৃহবধূরা কাঁথা সেলাই শুরু করেছেন। অনেক পরিবার রয়েছে, যারা কাঁথা সেলাইয়ের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। এ ব্যাপারে কাটাবাড়ী গ্রামের মরিয়ম জানান, শহরের অনেক মধ্যবিত্ত পরিবার শীত মৌসুম আসার আগে তাদের কাছে কাঁথা সেলাই করে দেওয়ার জন্য কাপড় সরবরাহ করেন। নকশা ভেদে এক একটি কাঁথা সেলাই করতে মজুরি বাবদ নেওয়া হয় ৫০০ থেকে ১ হাজার টাকা। অনেক গৃহবধূ কাজের ফাঁকে ফাঁকে প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫টি কাঁথা সেলাই করে বাড়তি আয় করছেন। অপরদিকে গরিব পরিবারের মহিলারা পুরনো শাড়ি, লুঙ্গি দিয়ে কাঁথা তৈরি করে চলেছেন।

 তাদের লেপ- তোশকের স্বাদ থাকলেও অনেকের সাধ্য না থাকায় রং- বেরঙের সুতা ও কাপড় দিয়ে কাঁথা বুনছেন শীত কামড় থেকে নিজেদের সুরক্ষার জন্য।

সর্বশেষ খবর