বুধবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

যাত্রী ছাউনির অভাবে ভূইয়ার ঘাটে ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

যাত্রী ছাউনির অভাবে ভূইয়ার ঘাটে ভোগান্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল-নাসিরনগর সড়কের পাশে ভূইয়ার ঘাট এলাকায় নেই কোনো যাত্রী ছাউনি। এতে প্রতিদিন শত শত যাত্রীদেরকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভূইয়ার ঘাটে একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সরাইল উপজেলার জয়ধরকান্দি তেলিকান্দি, করিমপুর, কাসেমপুর এবং নাসিরনগর উপজেলার মহিষবেড়, মুহাম্মদপুর, শিমুলকান্দি বাগি, কদরকান্দি গ্রামের শত শত মানুষ তাদের বাড়িতে আসার জন্য ভূইয়ার ঘাট এলাকায় নৌকার জন্য অপেক্ষা করছে। কেউ জেলা শহর থেকে চিকিৎসা করে, কেউ আদালতে হাজিরা দিয়ে, আবার কেউ আবার শহর থেকে বাড়ি ফিরছে। ঘাটটি হাওরাঞ্চলে হওয়ায় আশপাশ এলাকায় কোনো বাড়িঘর নেই। শুধু একটি চায়ের দোকান, একটি ইটভাটা ও নামাজের জন্য একটি টিনশেড ঘর আছে। বসার কোনো জায়গা নেই। যাত্রীরা রাস্তার পাশে এখানে ওখানে রৌদ্রে বসে সময় কাটাচ্ছে। বৃষ্টি হলে যাত্রীদের ভোগান্তির শেষ নেই। অনেক সময় যাত্রীরা বৃষ্টির পানিতে ভিজে একাকার হয়ে যায়। নৌকার যাত্রী মো. মাসুক মিয়া (৪৫) বলেন, যাত্রী ছাউনি না থাকায় রৌদ্রে বসে আছি। এখানে যাত্রী ছাউনি না থাকায় প্রতিদিন শত শত নারী, পুরুষ ও শিশু কিশোরদের ভোগান্তি পোহাতে হয়।

বৃষ্টি হলে ভোগান্তির শেষ নেই। জয়ধরকান্দির গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, কোনো নির্দিষ্ট যাত্রী ছাউনি না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে রোদ বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে নৌকার জন্য অপেক্ষা করছি। পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান সদস্য হেলাল উদ্দিন ভুইয়া বলেন, ভূইয়ার ঘাট এলাকায় একটি যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করা জরুরি প্রয়োজন। যাত্রী ছাউনিটি নির্মাণ হলে এলাকার মানুষের ভোগান্তি কিছুটা হলেও লাগব হবে। স্থানীয় যুবক নাহিদ বলেন, যাত্রীরা বৃষ্টির মৌসুমে অনেক কষ্টের শিকার হন, প্রতিনিয়ত যাত্রীরা দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে। জেলা পরিষদের সদস্য পায়েল হোসেন মৃধা বলেন, সরাইল-নাসিনগর সড়কটি এক্সটেনশন করা হবে। তাই ওই রাস্তায় যাত্রী ছাউনি করা নিষেধ। আমি একবার পরিকল্পনা করেছিলাম যাত্রী ছাউনি করার। কিন্তু করতে পারিনি। নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ বলেন, একটি যাত্রী ছাউনি হলে দুই উপজেলার বহু মানুষের কষ্ট লাগব হবে। যাত্রীদের কষ্ট দূর করতে কাজ করব।

সর্বশেষ খবর