সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

মাঠে এক ডজন প্রার্থী

উপনির্বাচন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

আগামী ১ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচন। গত ১১ ডিসেম্বর এই আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া পদত্যাগ করায় এই আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। আসনটি শূন্য ঘোষণার পর পরই এলাকায় গণসংযোগ শুরু করেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা। উপনির্বাচনে আসনটি মহাজোটকে ছেড়ে দেওয়া হবে নাকি, আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন  দেওয়া হবে এনিয়ে এলাকায় চলছে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা। তবে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, ১৯৭৩ সালের পর থেকে এই আসনে নৌকার এমপি না থাকায় এলাকার  কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হয়নি। তাই তারা উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবি জানান। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর জোরেশোরে মাঠে নেমেছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় এক ডজন প্রার্থী। তারা প্রতিদিনই দুই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে গণসংযোগ করছেন। উপনির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেন, এই আসনের সাবেক এমপি, জাতীয় পার্টির সাবেক কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক (বর্তমানে দল থেকে বহিষ্কৃত) অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, গত জাতীয় নির্বাচনে এই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও  কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মঈন উদ্দিন মঈন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আইন সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকউদ্দিন ঠাকুর, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজি মো. ছফিউল্লাহ মিয়া, শহীদ বুদ্ধিজীবীর সন্তান ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউছার,  বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারি কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হামিদ ভাসানী। এছাড়াও আলোচনা আছে সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন চাইতে পারেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনটি বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটের শরীক দল জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নবম ও দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে এই আসন থেকে বিজয়ী হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এই আসনে মহাজোটের মনোনয়ন পান জাতীয় পার্টির অতিরিক্ত মহাসচিব ও অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধার জামাতা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া। দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে জিয়াউল হক মৃধাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী উকিল আবদুস সাত্তার ভূইয়া অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মঈন উদ্দিন মঈনকে সামান্য ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে জয়লাভ করেন। বিগত সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাঈন উদ্দিন মঈন বলেন, আগে দল মনোনয়ন কনফার্ম করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন যেন এখানে দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এবারও দল থেকে মনোনয়ন পেতে চান তিনি। সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলার ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন। সরাইল উপজেলায় প্রায় ২ লাখ এবং আশুগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১ লাখ ভোটার রয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর