শিরোনাম
শনিবার, ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ ০০:০০ টা

ঋণের জালে বন্দি ব্যবসায়ী-জেলে

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

রায়পুর উপজেলার অধিকাংশ ব্যবসায়ী, জেলে ও দরিদ্র চাষি পরিবার ঋণের জালে বন্দি হয়ে পড়েছেন। বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ নিয়ে পরিশোধ করতে না পারায় এলাকা ছেড়েছেন অনেকে। কেউ কেউ হারাচ্ছেন ভিটামাটি। উপজেলার চরাঞ্চল ও জেলেপল্লীর হাজার হাজার পরিবার এনজিও, দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। গ্রামীণ সমাজ উন্নয়নের নামে দাদন ব্যবসায়ী এবং এনজিও হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে অসংখ্য পরিবার। নামসর্বস্ব সাইন বোর্ডধারী অনুমোদনহীন কিছু এনজিও ও সমিতি এ ব্যবসা চালিয়ে গেলেও প্রশাসনের নেই তেমন নজরদারি। রায়পুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনজন দাস বলেন, ‘চরাঞ্চলের মানুষ এনজিও ও দাদন ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি-বিষয়টি আমার জানা ছিল না। ওই অঞ্চলে দরিদ্রতার সুযোগ নিয়ে কিছু এনজিও ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন সমিতি অধিক সুদে ব্যবসা করছে বলে জানতে পেরেছি। তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ রায়পুর উপজেলায় শিল্প-কারাখানা ও বৃহৎ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় বেশির ভাগ মানুষ রিকশা-ভ্যান চালানো, মাছ ধরা, কৃষিকাজ, খুচরা মালামাল বিক্রি, মুদি মালামাল, পোশাকের দোকান ইত্যাদি পেশার ওপর নির্ভরশীল।

এসব ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় মূলধন না থাকায় বাধ্য হয়ে বিভিন্ন ব্যাংক, এনজিও ও সমিতির দ্বারস্ত হন তারা। ব্যবসায় মন্দা এবং বিনিয়োগ অনুযায়ী পর্যাপ্ত বেচাবিক্রি না হওয়ায় দিন দিন ঋণের বোঝা চেপে বসেছে বেশির ভাগ ব্যবসায়ী, জেলে ও প্রান্তিক চাষির ওপর। এক এনজিওর কিস্তি শেষ হতে না হতে এসে যায় অন্য কিস্তি। একটি সংস্থার ঋণ পরিশোধ করতে তারা অন্য সংস্থার ঋণের বেড়াজালে জড়িয়ে পড়েন। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারলে এনজিও কর্মকর্তা ও মাঠকর্মীরা দলবেঁধে বাড়িতে এসে টাকা আদায় করে নেয়। অনেকে ভয়ভীতি দেখান।

সর্বশেষ খবর