কলাপাড়া উপজেলার লোন্দা গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম আট একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছেন। ফলন ভালো পাবেন এ আশায় হাইব্রিড ড্রাগন জাতের বীজের প্যাকেট কিনে বপন করেন তিনি। পাঁচ মাস পরিচর্যার পর ফলন দেখে চমকে ওঠেন। তার খেতে যে তরমুজ ধরেছে তা আকারে খুবই ছোট ও বিভিন্ন জাতের। তরমুজগুলো খাবার উপযোগী নয়। ফলে বাজারজাতও করতে পারেননি। একই অবস্থা ওই গ্রামের তরমুজ চাষি রাজ্জাক, আলমগীর, সবুজ, হানিফ, মোশারেফ, কালাম, মাহাবুব, খবিরসহ অনেকের। এর প্রতিকার চেয়ে গতকাল ক্ষতিগ্রস্ত চষিরা খেতেই মানববন্ধন করেছেন। এতে কৃষক পরিবারের শতাধিক নারী পুরুষ ও শিশু অংশ নেন। তারা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
ক্ষতিগ্রস্তদের দাবি, স্থানীয় বাজার থেকে সিনজেনটা কোম্পানির এফ ওয়ান হাইব্রিড ড্রাগন জাতের তরমুজের বীজ কিনে চাষাবাদ করেছেন তারা। এতে ছোট ছোট বিভিন্ন জাতের তরমুজ ফলেছে- যা বাজারজাত করতে পারেনি কোনো কৃষক। প্রায় অর্ধকোটি টাকার লোকশান হয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ আর এম সাইফুল্লাহ জানান, কৃষকদের মাধ্যমে অভিযোগ পেয়েছি। মাঠপর্যায়ে তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।