বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি খুব শিগগিরই সব স্বাভাবিক হবে বলে আশা করছেন এই শুল্ক স্টেশনের কর্মকর্তারা। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, দেশের প্রেক্ষাপট স্বাভাবিক হলে পুরোদমে ব্যবসা শুরু হবে। এ ছাড়া ইমিগ্রেশনে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। বুড়িমারী স্থল শুল্ক স্টেশনের (কাস্টমস) সহকারী কমিশনার (এসি) একেএম সম্রাট বলেন, আশা করছি খুব শিগগিরই সব স্বাভাবিক হবে। বুড়িমারী স্থলবন্দরের সিএনএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী বকুল হোসেন বলেন, দেশের প্রেক্ষাপট স্বাভাবিক হলে পুরোদমে ব্যবসা শুরু হবে। এর আগে সরকারের পতনের পর থেকে লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানিতে ভাটা পড়ে। অনেক ব্যবসায়ী আমদানি রপ্তানি বন্ধ রাখেন। ৫দিনে ৫৫টি ভারতীয় ট্রাক মালামাল নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। যেখানে এর আগে প্রতিদিনই ৩৫০-৪০০ ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করত। গতকাল ভারতীয় ট্রাক এসেছে মাত্র ৭টি। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্যবাহী কিছু ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করে। এর আগে বুধবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভারত থেকে ২৫টি ট্রাক মালামাল নিয়ে বন্দরে আসে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি রপ্তানি থমকে গেছে। কোনো সিএনএফ ব্যবসায়ী স্থলবন্দরে প্রবেশ করছে না। বুড়িমারী স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশ কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) আহসান কবির পলাশ বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রীদের যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে। বাংলাদেশের কোনো ভিআইপি দেশ ত্যাগ করতে চাইলে তাদের অনুমতি আছে কিনা সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে সরকার পতনের দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায় সোনামসজিদ স্থলবন্দরে। দুই দিন পর গত বুধবার আবার শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে বন্দর। জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনের কারণে চলতি মাসের শুরু থেকে সোনামসজিদ বন্দরে আমদানি-রপ্তানি কমে আসে। ৫ আগস্ট সরকারের পতনের দিন পুরোপুরি বন্ধ হয় কার্যক্রম। দুই দিন পর বুধবার আবার আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের পরিবেশ স্বাভাবিক না হওয়ায় এখনো আতঙ্কে রয়েছেন আমদানিকারক, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এবং ভারত থেকে আসা ট্রাকচালকরাও।
সোনামসজিদ আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ জানান, বন্দর এলাকায় কোনো উত্তেজনা নেই। সোনামসজিদ স্থলবন্দর পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল উদ্দীন জানান, বৃহস্পতিবার বন্দর দিয়ে আমদানি পণ্য নিয়ে ১৩৭টি ভারতীয় ট্রাক বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বুধবার আসে আরও ৭৫টি। এসব ট্রাকে পিঁয়াজ, মরিচসহ বিভিন্ন পণ্য রয়েছে।