সাবিকুন্নাহার পপি (৩০) নামে এক গৃহবধূর লাশ বাবার বাড়ি নিয়ে আসেন স্বামী ও শ্বাশুড়ি। তারপর তার লাশ দাফনের প্রস্তুতি চলছিল। এ সময় তার শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে বাবার বাড়ির লোকজনের সন্দেহ হয়। ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে সন্দেহে স্বামী রায়হান পারভেজ (৩২) ও শাশুড়ি আবেদা খাতুনকে (৫৫) পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
গতকাল সকালে এ ঘটনাটি ঘটেছে কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের শংকরপাশা গ্রাম। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার গৃহবধূ সাবিকুন্নাহার ওই গ্রামের হাবিবুর শিকদারের মেয়ে। মঙ্গলবার সকালে টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলা সদরের ভাড়া বাসায় ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ নিহতের স্বজনদের।
কাশিয়ানী থানার(ওসি)মো. জিল্লুর রহমান জানান, ‘ওই গ্রহবধূর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ ও নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহটি উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তবে মামলা ঘটনাস্থল সংশ্লিষ্ট থানায় হবে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানান।