গাজীপুরে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ‘পারিবারিক পুষ্টি বাগান’। বসতবাড়ির আঙ্গিনাসহ কৃষি জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা এবং সারা বছর সবজি ও ফলের চাহিদা মেটাতে বাস্তবায়ন হচ্ছে এ কার্যক্রম। সুফল পাওয়ায় এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। পরিবারের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও লাভের আশায় প্রকল্প সহায়তার পাশাপাশি নিজ উদ্যোগে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় কৃষক-কৃষাণি গড়ে তুলেছেন পারিবারিক পুষ্টি বাগান। এ সব খেতে বেশির ভাগ কাজ করছেন গৃহবধূরা। অনেকের পুষ্টি বাগান থেকে সাফল্য আসতে শুরু করেছে। এতে উৎসাহ জোগাতে মাঠপর্যায়ে বীজ, সার সরবরাহ এবং কৃষকদের সার্বিক সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি অধিদপ্তর। পারিবারিক পুষ্টি বাগান করে সফল চাষি মামুনুর রশীদ বলেন, ‘জায়গাটা আগে খালি পড়ে ছিল। কৃষি বিভাগের পরামর্শে এখন সেখানে নানারকম শাক-সবজি লাগাই। যা উৎপাদন হয় সেগুলো থেকে কিছু আমরা খাই আর কিছু বিক্রি করে টাকা উপার্জন করি।’ গাজীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক রফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কারিগরি জ্ঞান দিয়ে কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। কৃষি গবেষণা থেকে উদ্ভাবিত কালিকাপুর মডেল পদ্ধতিতে বাগান স্থাপন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে কৃষকদের।
যেন সারা বছর বাগানে সবজি চাষ করে তাদের পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ হয়। একটি বাগান করার পর এলাকার অন্য কৃষকও আগ্রহী হন। সবজি বাগানের পাশাপাশি বিভিন্ন ফলের চারা রোপণ করা হচ্ছে। চাষ করা হয় মসলাজাতীয় ফসলও। সাধারণত দেড় শতক জায়গায় একটি মডেল পুষ্টিবাগান স্থাপন করা হয়। বছরব্যাপী ৮ থেকে ১৪ প্রকার সবজি অনায়াসে চাষ করা যায় এ বাগানে। রফিকুল ইসলাম খান আরও বলেন, বসতবাড়িতে সবজি চাষ করে একটি পরিবার অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী এবং পরিবারের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে পারে। এ ছাড়া বড়ির আঙ্গিনায় শাক-সবজি উৎপাদন বাংলাদেশ থেকে পুষ্টিহীনতা দূরীকরণেও অবদান রাখবে। পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপনের কার্যক্রমে সুফল পাওয়ায় দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। নারীরা বাড়ির উঠানে সবজি চাষে উৎসাহী হচ্ছেন।