ঠাকুরগাঁও পৌর শহরে বিভিন্ন রাস্তার পাশে বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনা স্তূপ করা হচ্ছে। এর প্রকট গন্ধে গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হচ্ছে। পাশাপাশি নানা সমস্যায় পড়ছে স্কুল শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী। বৃষ্টি হলেই এসব স্থান থেকে প্রচন্ড দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পৌরসভার মধ্যে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকায় এ সমস্যা হচ্ছে, বলছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। মন্দিরপাড়া এলাকায় পথচারী ফারুক বলেন, পৌরসভার রাস্তার পাশে এই ময়লার স্তূপের কারণে এলাকায় জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সিএম আইয়ুব স্কুলের একাধিক শিক্ষার্থী জানান, দুর্গন্ধের কারণে ওইসব রাস্তার পাশ দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া কষ্টকর।
সরেজমিনে দেখা যায়, পৌর শহরের বিভিন্ন রাস্তার পাশে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা গাড়িতে প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ফেলছে। জমা করা হচ্ছে শহরের সব ময়লা-আবর্জনা। অনেক স্থানের পাশেই রয়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেখানে পড়াশোনা করে হাজারো শিক্ষার্থী।
স্থানীয়রা জানান. দিনের পর দিন জমা করায় এই জায়গাগুলোতে তৈরি হয়েছে ময়লা-আবর্জনার বিশাল স্তূপ। সেখান থেকে দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দাসহ আশপাশে অবস্থিত স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সাধারণ মানুষ ও স্কুলের শিক্ষার্থীদের নাকমুখ চেপে আসা যাওয়া করতে হয়। বৃষ্টি হলেই এসব স্থান থেকে প্রচ দুর্গন্ধ চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। পৌর শহরের সেনায়া গোরস্থান এলাকায় জয়নাল আবেদিন জানান, জোরে বাতাস বইতে শুরু করলে দুর্গন্ধে ঘরে থাকা যায় না। তখন দম নেওয়া যায় না। ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. আবুল বাসার মো সায়েদুজ্জামান জানান, খোলা জায়গায় ময়লার দুর্গন্ধ নানা রোগের কারণ হতে পারে। দুর্গন্ধযুক্ত এলাকায় পথচারী বা শিশুদের মুখে মাস্ক বা কাপড় ব্যবহার করা যেতে পারে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভার প্রশাসক সরকার মোস্তফা শাহিন জানান, কারা ময়লা সেখানে ফেলছে সেটা জানা নেই। মূলত পৌরসভার মধ্যে ময়লা ফেলার নির্দিষ্ট স্থান না থাকার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে। ময়লার দুর্গন্ধ যেহেতু জনস্বাস্থ্যে হুমকি ছড়াচ্ছে; বিষয়টি পৌর কর্তৃপক্ষ নজরে রাখবে।