চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল দৃশ্যমান হচ্ছে। ঘটছে সংঘর্ষ, প্রাণহানি। সম্প্রতি দুই পক্ষের সংঘর্ষে কর্মী মিলন আলী (৩৫) ও তার ছোট ভাই আলমের মৃত্যুর পর ইমেজ সংকটে পড়েছে দলটি। স্থানীয় অনেকে বলছেন, এ আসনটি বিএনপির ঘাঁটি হলেও দলীয় কোন্দল ও জোড়া হত্যার ঘটনার প্রভাব পড়বে আগামী জাতীয় নির্বাচনে। গ্রুপিং ও হত্যাকান্ডে র ঘটনায় ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণœ হয়েছে। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে ফায়দা তুলতে পারে অন্য রাজনৈতিক দল। বিএনপির দুর্দিনে হাল ধরে তৃণমূল কর্মীদের সংগঠিত করে রাখা জেলা মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচিও এসব ঘটনায় চরম বিব্রত বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন।
জানা যায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে কয়েক দিন ধরে বিএনপির সাবেক এমপি আমিনুল ইসলামের সমর্থক সেলিমের সঙ্গে মনোনয়নপ্রত্যাশী আবদুস সালাম তুহিনের সমর্থক মিজানের বিরোধ চলছে। এর জেরে গত মঙ্গলবার দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হন। তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে বুধবার সন্ধ্যায় মিলন আলী ও আলমের মৃত্যু হয়। তারা আপন ভাই। জেলা মহিলা দল সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি বলেন, দল যখন ভালো কিছুর দিকে এগোচ্ছে ঠিক তখন নাচোলে ঘটে যাওয়া হত্যা মানুষ ভালোভাবে নেয়নি। দলের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক ব্যবস্থা নিতে হবে। দলের ইমেজ ফিরিয়ে আনার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করারও আহ্বান জানান তিনি।