গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে জমিজমা-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের রামদার আঘাতে বাদল মিয়া (৪০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের হরিরামপুরে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। পুলিশ জানায়, ওই এলাকার বাদল মিয়ার সঙ্গে শরিকদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার সকালে তাদের মধ্যে বগাবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের রামদার আঘাতে বাদল মিয়া গুরুতরও আহত হন। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, নিহতের লাশ তার বাড়িতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। মামলা হলে অভিযুক্তদের শনাক্ত করাসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুয়াডাঙ্গা শহরের সরকারি কলেজ এলাকার ‘হ্যাচ প্যাচ’ রেস্টুরেন্টের দরজা ভেঙে বাবুর্চি আশীকের (২১) লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে সহকর্মীরা ঘরের ভিতর অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ‘হ্যাচ প্যাচ’ রেস্টুরেন্ট প্রতিদিন বিকালে খুলে রাত পর্যন্ত চলে। আশীক সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সোনাপুর গ্রামের শ্রী জয় কুমারের ছেলে। তিনি প্রায় ছয় মাস ধরে ওই রেস্টুরেন্টে বাবুর্চি হিসেবে কাজ করতেন এবং রেস্টুরেন্টের ভিতরে একাই থাকতেন। সহকর্মী মামুন হোসেন বলেন, শেষবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় আশীকের সঙ্গে কথা হয়। এরপর ফোন দিলে তিনি ধরেননি। রেস্টুরেন্টে এসে জানালা দিয়ে দেখি তিনি মেঝেতে পড়ে আছেন। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে অচেতন অবস্থায় পেয়ে দ্রুত সদর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, দুপুর ২টার দিকে আশীককে হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষানিরীক্ষা করে দেখা যায় তিনি আগেই মারা গেছেন। মৃত্যুটি স্বাভাবিক মনে হয়নি। সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বলেন, প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর সুনির্দিষ্ট কারণ জানা যায়নি। আশীকের হাতে ধারালো অস্ত্রের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বলা যাবে হবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা।