ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে লাঠির আঘাতে অটোচালক খুন হয়েছেন। গতকাল দুপুরে উপজেলার আউলিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে। নিহত দেলোয়ার হোসেন (৩০) উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের চাঁনপুর গ্রামের মৃত তোতা চৌকিদারের ছেলে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে উপজেলার আউলিয়া বাজারের উত্তর মোড় মাদরাসা রোডে দেলোয়ারের অটোরিকশার সঙ্গে মুদি ব্যবসায়ী বিল্লাল মিয়ার মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে বিল্লাল মিয়া কাঠের লাঠি দিয়ে অটোচালক দেলোয়ারের মাথায় আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বিজয়নগর হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম জানান, ‘গাড়িতে ধাক্কা লাগাকে কেন্দ্র করে মোটরসাইকেল চালকের লাঠির আঘাতে অটোচালক নিহত হয়। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।’
এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে আব্দুল্লাহ আল মাসুদ (৩২) নামে এক ইলেকট্রিক মিস্ত্রিকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। বুধবার রাত ১১টার দিকে ফটিকছড়ি পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর ধুরুং এলাকার ওন্দা মিয়ার বাড়ির ছাদে নিয়ে তাকে পেটানো হয়। মাসুদ ওই এলাকার মো. মোজাহেরের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই আব্দুল্লাহ আল রাশেদ বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় মামলা করেছেন।
ফটিকছড়ি থানার ওসি নূর আহমদ বলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
রাশেদ জানান, তার ভাই মুনাফখীল মাদরাসা থেকে ফেরার পথে অভিযুক্ত ওসমান বাড়ির ছাদে ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা অন্যরা লোহার রড, বাঁশের লাঠি ও কাঠের বাটাম দিয়ে পেটায়। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় বাড়ির সামনে ফেলে রেখে যায়। মাসুদকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মাসুদ মারা যান।