ভালো ফলন ও দাম পাওয়ায় দিন দিন শীতের সবজি আবাদে ঝুঁকছেন কক্সবাজারের চাষিরা। কৃষি বিভাগও তাদের প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করছে। চকরিয়া উপজেলার মাতামুহুরী ও রামু নদীর বাঁকখালীর তীরে উর্বর জমিতে বেড়েছে সবজি চাষ। জানা যায়, এবার শীত শুরুর আগেই ফুলকপি, মুলা, বাঁধাকপি, পটোল, শিম, টম্যাটো, করলা, বেগুন, ধনিয়া ও লাউসহ অন্য সবজি চাষ শুরু করেছেন কৃষকরা। বর্তমানে তারা খেতে চারা রোপণ ও গাছে আসা ফসল পরিচর্যায় ব্যস্ত। কৃষকরা জানান, পুরো শীত মৌসুম বাজারে সবজির চাহিদা থাকে। শুরুতে শীতকালীন সবজির ভালো দাম পাওয়া যায়। এ কারণে তারা আগেভাগেই সবজি আবাদ শুরু করেছেন। চকরিয়ার বরইতলী ইউনিয়নের শান্তি বাজার এলাকার কৃষক একরাম জানান, সবজি চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা এসেছে। এখন তিনি স্বাবলম্বী। শাক-সবজি বিক্রির জন্য বাজারে যেতে হয় না। খেত থেকেই পাইকাররা ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যান। এখানে প্রায় সব ধরনের সবজি চাষ হয়। বরইতলী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল নোমান বলেন, আগাম শীতকালীন সবজির দাম বাজারে সব সময় ভালো পাওয়া যায়। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহনাজ ফেরদৌসী বলেন, এ মৌসুমে চকরিয়ায় ৩ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের টার্গেট রয়েছে। এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯৮০ হেক্টরে আগাম শীতের সবজি চাষ হয়েছে। প্রণোদনার আওতায় ৫৯০ জন কৃষককে শীতকালীন সবজির বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. বিমল কুমার প্রামাণিক জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৭ হাজার ৬০০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হবে।