হাওর ও চা বাগানবেষ্টিত মৌলভীবাজারে কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসকের ২৭টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন মাত্র তিনজন। এর মধ্যে একজন প্রেষণে জুড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও একজন রয়েছেন মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালে। তাই এক চিকিৎসককেই এ হাসপাতালের সব রোগী সামলাতে হচ্ছে। এক্স-রে বিভাগ ও প্যাথলজি বিভাগ থেকেও অচল। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংকটও রয়েছে। ফলে চিকিৎসকসহ নানা সংকটে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। জানা গেছে, কুলাউড়া উপজেলার ৩ লাখ মানুষের চিকিৎসার আশ্রয় স্থল এ হাসপাতাল। দৈনিক গড়ে ৩০০ জন রোগী আসে এখানে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, ৫০ শয্যার কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা কর্মকর্তার পদ রয়েছে ২৭টি। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাসহ সেখানে তিনজন চিকিৎসক আছেন। তবে দুজন চিকিৎসক প্রেষণে অন্যত্র কর্মরত রয়েছেন। এ কারণে এখন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন ও একজন চিকিৎসককে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সব কাজ সামলাতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকট থাকায় বাধ্য হয়ে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসাররা রোগীদের সেবা দেন। এ ছাড়া রোগীরা এক্স-রে সেবা পাচ্ছে না। ল্যাব টেকনিশিয়ানের অভাবে দীর্ঘদিন ধরে প্যাথলজি সেবাও বন্ধ। টেকনিশিয়ানের অভাবে সেখানে এক্স-রে সেবা দেওয়া সম্ভব হয় না। রোগীদের বাইরে গিয়ে এক্স-রে করতে হয়। গাইনি বিশেষজ্ঞ ও কোনো কনসালটেন্ট না থাকায় সব ধরনের অপারেশন বন্ধ রয়েছে বহু দিন ধরে। কুলাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেন বলেন, ৫০ শয্যার হাসপাতালে গড়ে রোগী ভর্তি থাকে ৩০-৪০ জন। এর মধ্যে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও বার্ধক্যজনিত রোগে আক্রান্তরাই রোগী। বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৩০০ রোগী আসে। হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট থাকায় উপজেলাবাসীকে কাঙ্ক্ষিত সেবা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চিকিৎসক সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যার কথা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে জানানো হয়েছে।